বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এরা চারজনই গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী নেতা। তবে এই চারটি নাম নয়, আমাদের তালিকায় আরও নাম আছে। খুব শীঘ্রই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সেই নাম পাঠানো হবে।”
শুভেন্দু অধিকারী, বাবুল সুপ্রিয় এবং ইন্দ্রনীল খাঁ। ফাইল চিত্র।
আসানসোল এবং বালিগঞ্জ— দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে পরিচালন কমিটি ঘোষণা করল বিজেপি। আসানসোলের দায়িত্বে থাকছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন অর্জুন সিংহ। এ ছাড়াও ওই কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় মাহাতো এবং বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী।
অন্য দিকে, বালিগঞ্জ কেন্দ্রে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকছেন সঞ্জয় সিংহ। এ ছাড়াও সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অশোক দিন্দাকেও এই কেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্ব দিয়েছে দল। দুই কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আসানসোলে প্রার্থী হয়েছেন শ্ত্রুঘ্ন সিন্হা এবং বালিগঞ্জে প্রার্থী হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করলেও বিজেপি এখনও ওই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।
দুই কেন্দ্রে কাদের প্রার্থী করবেন বিজেপি নেতৃত্ব তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে আসানসোল কেন্দ্রের জন্য চারটি নাম আলোচনায় উঠে এসেছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এই চার জন হলেন— জিতেন্দ্র তিওয়ারি, অগ্নিমিত্রা পাল, নির্মল কর্মকার এবং সুব্রত মিশ্র। তবে এঁদের মধ্যে নির্মলই দৌড়ে এগিয়ে আছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। আসানসোলে বাবুলের জয়ের কারিগর মনে করা হয় নির্মলকে। ফলে সে দিক থেকে তাঁর দিকেই পাল্লা ভারী বলে মনে করছে দলের একাংশ। বর্তমানে আসানসোলে দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে নির্মল।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এরা চারজনই গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী নেতা। তবে এই চারটি নাম নয়, আমাদের তালিকায় আরও নাম আছে। খুব শীঘ্রই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সেই নাম পাঠানো হবে।”
আসানসোলে প্রার্থী নিয়ে যেমন বেশ কয়েকটি নাম ভেসে উঠেছে, বালিগঞ্জে কাকে প্রার্থী করা হতে পারে তা নিয়েও জোর জল্পনা চলছে। তবে এই কেন্দ্রে কোনও তরুণ মুখকে প্রার্থী করতে চাইছে বিজেপি। সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রে লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে নারাজ সেই বিষয়টি নাকি ঘনিষ্ঠদের কাছে জানিয়েছেন। আরও একটি নাম উঠে এসেছে। তিনি হলেন ইন্দ্রনীল খাঁ। তিনি বিজেপি-র যুব মোর্চার সভাপতি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কসবায় প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু হেরে যান। বাবুলের বিরুদ্ধে কি তাঁকেই প্রার্থী করার কথা ভাবছে, শুরু হয়েছে জল্পনা।
আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৬ এপ্রিল ভোটগণনা।