রবিবার নিজের এলাকার একটি পার্কের কাজের দেখভাল করতে গিয়েছিলেন কাউন্সিলর অনুপম। সেই সময় মোট ৪ জন দুষ্কৃতী মোটর বাইকে করে তাঁর সামনে এসে থামে। এর পর তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। এর পর বাইক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
কাউন্সিলরকে গুলি করার সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম শম্ভুনাথ পণ্ডিত। অভিযুক্ত নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শম্ভুনাথ কাউন্সিলরকে খুনের পর তেঁতুলতলা এলাকার হোগলাবনে লুকিয়ে ছিলেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা ঝোপের মধ্যে কাউকে নড়াচড়া করতে দেখেন। তাঁর সন্দেহ হওয়ায় পাশের ক্লাবের ছেলেদের এবং পাড়ার লোকেদের ডেকে বিষয়টি জানান। তার পরই ওই হোগলা বন ঘিরে ফেলেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া পুলিশে। স্থানীয়রাই তার পর হোগলা বনে আগুন লাগিয়ে দেন। তখন সেই ঝোপ থেকে বেরিয়ে পালাতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ শম্ভুনাথকে ধরে ফেলেন তাঁরা। তার পর তাঁকে খাড়দহ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শম্ভুনাথ সুপারি কিলার। সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে যে পোশাকে দেখা গিয়েছিল, পরে তিনি তা বদলে ফেলেন। যদিও পোশাক বদলেও শেষরক্ষা হয়নি। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে তাঁকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে তাঁকে খুনের সুপারি দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শম্ভুনাথের সঙ্গে আর কারা ছিলেন জেরা করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় দুষ্কতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ভর্তি করানো হয় সাগরদত্ত মেডিক্যাল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, রবিবার নিজের এলাকার একটি পার্কের কাজের দেখভাল করতে গিয়েছিলেন কাউন্সিলর অনুপম। সেই সময় মোট ৪ জন দুষ্কৃতী মোটর বাইকে করে তাঁর সামনে এসে থামে। এর পর তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। এর পর বাইক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।