শনিবার মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দু অধিকারী ও অমিত শাহ।
রাজ্য বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারী যে গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠতে চলেছেন তা স্পষ্ট। কিন্তু বোলপুরে অমিত শাহের রোড শো-তে থাকছেন না তিনি। বরং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে অণ্ডাল বিমানবন্দরে দেখা যাবে তাঁকে।
মেদিনীপুরের কলেজে মাঠের সমাবেশে শনিবারই অমিত শুভেন্দুর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়েছেন। মূল বক্তা অমিতের আগেই শুভেন্দুকে বক্তব্য রাখতে দিয়ে, দেওয়া হয়েছে বাড়তি গুরুত্ব। পাশে টেনে নিয়ে কিংবা জড়িয়ে ধরে শুভেন্দুকে নিয়ে আগ্রহ বুঝিয়েছেন অমিত। কলকাতা ফেরার পথে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের সঙ্গে শুভেন্দুকেও তুলে নিয়েছেন নিজের চপারে। রাতে রাজারহাটের যে হোটেলে অমিত উঠেছেন সেখানে হওয়া সাংগঠনিক বৈঠকেও আমন্ত্রিত ‘নবাগত’ শুভেন্দু।
রবিবার সকালে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে বোলপুর যাবেন অমিত। সেখানে সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ পৌঁছানোর কথা। এর পরে ১১টা থেকে ১২টা ৪০ পর্যন্ত বিশ্বভারতীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত। সেখান থেকে বাংলাদেশ ভবনের অনুষ্ঠান এবং দুপুরে শ্যামবাটীতে এক বাউল পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ। এর পরে দুপুর ২টোয় ডাকবাংলো মাঠের কাছে হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু হবে রোড শো। দু’ঘণ্টার রোড শো যাবে বোলপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত।
রোড শো-য় শুভেন্দু-সহ বিজেপি-র অন্যান্য নেতারা অমিতের সঙ্গে থাকলেও তাঁরা কেউ বিশ্বভারতীর কোনও অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। অমিত সফরের ব্যানার বিশ্বভারতী চত্বরে লাগানো নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে শান্তিনিকেতনে। রাজনীতিকরণের অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই শনিবার বিশ্বভারতী জানিয়ে দিয়েছে, অমিত শাহের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি আসতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে। কোনও সাংসদ, বিধায়কও নয়। তবে প্রবেশের অনুমতি পাবেন রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। কারণ, তিনি বিশ্বভারতীর কোর্ট মেম্বার। উল্লেখযোগ্য ভাবে বিশ্বভারতী এটাও জানিয়ে দিয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক হয়েও রবিবার কোনও অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। প্রসঙ্গত অমিত সফরে বিজেপির ব্যানার নিয়েও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অবমাননার যে অভিযোগ উঠেছে তাতেও জড়িয়ে যান অনুপম। ওই ব্যানারে অমিতের ছবির নীচে একটি আঁকা রবীন্দ্রনাথের ছবি ও একেবারে তলায় অনুপমের ছবি ছিল।