হুঁশিয়ারি সুকান্তের। ফাইল চিত্র।
দুর্নীতির তদন্ত কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছতে হবে, এই দাবিতে সরব বিরোধীরা। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির মাথা হিসেবে ‘পিসি-ভাইপো’কে নিশানা করেও অভিযোগ করছে তারা। কিন্তু রীতিমতো ঘোষণার সুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের পরে এ বার মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিমের জেলে যাওয়ার পালা বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী করবে, বিজেপিই তা হলে সে সব ঠিক করে দিচ্ছে!
বহরমপুরে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার ডাকে ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ শীর্ষক সভা ছিল বিজেপির। ওই স্লোগানও তারা ব্যবহার করছে বামেদের দেখাদেখি। বহরমপুরের সভায় এ দিন সুকান্ত বলেন, ‘‘তৃণমূলে অনেক চোর। তালিকা লম্বা। কেউ ছাড় পাবে না। পার্থ গিয়েছে, কেষ্ট (অনুব্রত) গিয়েছে। এ বার ববি যাবে!’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হয়েও জানতে পারছেন না, কে কত টাকা তুলছে!’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যের জবাবে তৃণমূলের নেতা তাপস রায় বলেছেন, ‘‘সিবিআইয়ের মতো স্বশাসিত সংস্থাগুলি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে, এটাই প্রত্যাশিত। কে কাকে ধরবে, ডাকবে, সে তো তারা ঠিক করবে! এ সব দেখে মনে হচ্ছে, বিজেপির নির্দেশেই তারা পরিচালিত হচ্ছে।’’ স্বয়ং ববি অবশ্য আগেই বলে রেখেছেন, তিনি কোনও অন্যায় বা অনৈতিক কাজে যুক্ত নন। তেমন কিছু প্রমাণিত হলে তিনি নিজেই নিজেকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেবেন। প্রসঙ্গত, পার্থদের পরে এ বার নিশানায় ববি, বিজেপি শিবির থেকে এই প্রচার ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে আগেই। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও আগে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন।
সুকান্ত এ দিন দলের নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘‘দলের প্রতিটা মণ্ডল অফিসের সামনে ব্যানার ঝুলিয়ে দিন, ‘গোপনে তোলাবাজি রোগ বন্ধ কেন্দ্র’। গোপনে এসে বলুন, কে কত টাকা নিয়েছে। তৃণমূলের যারা টাকা তোলে, তাদের তালিকা তৈরি করুন।’’ পঞ্চায়েত ভোটে লাঠি হাতে বুথ আগলানোর ডাকও দিয়েছেন তিনি।