চণ্ডীপুরের হাঁসচড়ায় সিপিএমের মিছিলে সুজন। নিজস্ব চিত্র
শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে দানা বেঁধেছে জল্পনা। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সেই ঘটনাপ্রবাহকে সামনে রেখে এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী যে মই বেয়ে ওঠেন সেটাকেই ফেলে দেন।
আগামী ২৬ নভেম্বর একাধিক দাবিতে সারা ভারত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম সংগঠনগুলি। সেই ধর্মঘটের সমর্থনে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের হাঁসচড়ায় একটি মিছিলের আয়োজন করে সিপিএম। সেই কর্মসূচিতেই এ দিন যোগ দেন ওই সুজন।
এ দিন মিছিল শেষে সাংবাদিক বৈঠকে স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসে রাজ্যের শাসক দলের প্রসঙ্গ। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীকে ঘিরে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে সুজন বলেন, ‘‘এটা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, যে মই বেয়ে মুখমন্ত্রী ওপরে ওঠেন তা ফেলে দেন। এটা শুধু শুভেন্দুর একার ক্ষেত্রে নয়, অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: দিলীপের ভাষাজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ কী বললেন অনুব্রত
সুজনের প্রশ্ন, ‘‘নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন যদি মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই হয়ে থাকে তা হলে এখন সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের বিধায়ক দু’জনেই কেন মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ভিন্ন কথা বলছেন?’’ মমতাকে নিশানা করে ওই সিপিএম নেতার তোপ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো যে ভুয়ো তা আজ সকলেই বুঝতে পারছে। রাজ্যের মানুষও তা অনুভব করছেন।’’
আরও পড়ুন: কাল থেকে অফিস টাইমে ৯৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল
সদ্য ঘটে যাওয়া বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ফলে উল্লসিত সুজন। সেই উচ্ছ্বাস চেপে না রেখেই এ দিন তিনি বলেন, ‘‘একমাত্র বিকল্প বামেরাই।’’ রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেই বিহার মডেলেরই প্রয়োগ করার লক্ষ্যে কোমর বাঁধছে বামেরা। বিজেপিকে ঠেকানোই যে মূল চ্যালেঞ্জ তা-ও জানিয়েছেন সুজন। তাঁর দাবি, “বাংলার মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তৃণমূল এ বার আর জিততে পারবে না। তবে তারা যেন বিজেপিকে সুযোগ করে না দেয়।’’