Smartphone

Bengal School Reopening Guidelines: স্কুল পড়ুয়াদের মোবাইল ব্যবহারে ‘না’, নিয়ন্ত্রণ শিক্ষকদের জন্যও: মধ্য শিক্ষা পর্ষদ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুলের সীমানার ভিতরে ছাত্রছাত্রীরা কোনও রকম মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবে না। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে তার কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরির ভেতরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

অমিত রায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২২ ১২:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা কোনও রকম মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন আনতে পারবে না। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শুধু ছাত্র-ছাত্রীরাই নয়, স্কুলের অন্দরে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের জন্য বেশ কিছু নিষেধ চালু করার কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুলের সীমানার ভিতরে ছাত্রছাত্রীরা কোনও রকম মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবে না। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে তার কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরির ভেতরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যদি কোনও ক্ষেত্রে ক্লাস বা ল্যাবরেটরির মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করতে হয়, তবে তার লিখিত অনুমতি নিতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে। শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য অনুরোধ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

Advertisement

শুধু তাই নয়, মোবাইল বা স্মার্টফোনের পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে ব্যবহার করা যাবে না কোনও রকম ব্লুটুথ ডিভাইস। এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের জন্য। ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে কোনও ব্যাখ্যা না থাকলে শিক্ষকদের জন্য এর একটি ব্যাখ্যাও ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের ব্যবহার করলে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠন প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই শিক্ষকদের জন্য ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণের সময় লকডাউনের কারণে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জনজীবন। তার প্রভাব পড়েছিল রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু করেছিল। সে ক্ষেত্রে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলেছিল স্মার্ট ফোন। ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যার্থে স্মার্ট ফোন দেওয়ারও উদ্যোগ শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। এ বার ছাত্রছাত্রীদের উপর সেই মোবাইল বা স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।

Advertisement

শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন,‘‘আমরা জেনেছি ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। অথচ সরকার আগে নিজে থেকেই ছাত্রছাত্রীদের স্মার্ট ফোন দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল। সরকার যদি স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তা হলে আগে রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের স্মর্টফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসুক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement