হাঁসখালির নির্যাতিতার বাড়িতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ফাইল চিত্র।
নদিয়ার হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মঙ্গলবার সকালেই তিনি হাঁসখালি যান। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরের পরে তিনি হাঁসখালি যাবেন। ঘটনাচক্রে, বিরোধী দলনেতার আগেই হাঁসখালিতে নির্যাতিতার পরিবারের কাছে পৌঁছে যান তৃণমূল সাংসদ মহুয়া।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়াকে নির্দেশ দিয়েছেন ওই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে— মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা নিয়েই মহুয়া ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। হাঁসখালির ওই নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছনর আগে মহুয়া বলেন, ‘‘নদিয়া জেলার এক জন সাংসদ হিসাবে হাঁসখালির ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।’’ যেখানকার ঘটনা, ঘটনাচক্রে সেই এলাকাকার সাংসদ এবং বিধায়ক—দু’জনেই বিজেপি-র।
অভিযোগ, গত ৪ এপ্রিল রাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক কিশোরী। ৫ এপ্রিল ভোরে তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলেকে। হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সমালোচনা শুরু হয়েছে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। কী ভাবে ময়নাতদন্ত এবং মৃত্যুর শংসাপত্র (ডেথ সার্টিফিকেট) ছাড়াই নির্যাতিতা কিশোরীর দেহ পুড়িয়ে ফেলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
ইতিমধ্যেই ওই ঘটনা নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। দাবি করা হয়েছে, সিবিআই তদন্তের।