—প্রতীকী ছবি।
গাড়ির দূষণ ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বার অ্যাপ-নির্ভর প্রযুক্তি চালু করতে চায় রাজ্য পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি এ ব্যাপারে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছেন পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন। সরকারের আরও নির্দেশ, গাড়ির পথ কর (রোড ট্যাক্স) বকেয়া থাকলে দূষণ পরীক্ষার পরেও ছাড়পত্র মিলবে না। কর মেটালে তবে সেই শংসাপত্র পাওয়া যাবে। পরিবহণ কর্তারা বলছেন, ইদানীং বহু ক্ষেত্রেই দূষণ ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে সমস্যার অভিযোগ আসছিল। অনেকে গাড়ি পরীক্ষা করিয়ে ছাড়পত্র নিলেও রাস্তায় বসানো নজরদারি যন্ত্রের দূষণ পরীক্ষায় ধরা পড়ছিলেন। সেই কারণেই নির্ভুল পরীক্ষার জন্য ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের (এনআইসি) সাহায্যে নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, বিভিন্ন ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে ঢিলেঢালা পরীক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াও গাড়ি হাজির না থাকলেও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নতুন প্রযুক্তিতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে একটি বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখানে নিজের কেন্দ্রের ভৌগোলিক অবস্থান-সহ একাধিক তথ্য আপলোড করতে হবে। দূষণ পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি, গাড়ির ছবি, ধোঁয়া পরীক্ষার ভিডিয়ো ইত্যাদি আপলোড করতে হবে। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “গাড়ির দূষণ সংক্রান্ত পরীক্ষা যথাযথ হওয়া জরুরী। মূল্যায়ন নিয়ে অনিয়ম আমরা চাই না। রাজ্য জুড়ে প্রায় ২২০০ কেন্দ্রকে নয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের বার্তা দেওয়া হয়েছে।”
পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, এত দিন কর বাকি রেখে অনেকেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত শংসাপত্র নিয়ে গাড়ি চালাতেন। নতুন নির্দেশের পর দূষণ পরীক্ষা করানোর পরে কর বাকি থাকলে শংসাপত্র মিলবে না। কোনও ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্র নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে বকেয়া কর যেমন আদায় হবে, তেমনই কর ফাঁকি দেওয়া আটকানো যাবে। তাতে রাজস্বের ঘাটতি পূরণ হতে পারে, মনে করছেন সরকারি কর্তারা।