purulia

আট বছর পেরিয়ে জল প্রকল্পে তৎপর সরকার

স্থির হয়েছে, পাথুরে জমি থেকে ভূগর্ভস্থ জল তোলার ‘বিফল’ চেষ্টা ছেড়ে মুকুটমণিপুর জলাধারের ভূপৃষ্ঠের জলকেই সরবরাহের উৎস করা হবে।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২১ ০৫:৪৯
Share:

প্রতীকী চিত্র।

রুক্ষ, শুষ্ক পুরুলিয়ার জল সঙ্কট দূর করতে রাজ্য সরকার আট বছর আগে বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও শেষ হয়নি! প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী প্রকল্প-পরিকল্পনায় সংশোধন এবং পরিমার্জনের জন্যই সময় লেগেছে। তবে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্নের শীর্ষমহল।

Advertisement

প্রশাসনের অন্দরমহল জানাচ্ছে, প্রকল্পটির পরিকল্পনা যথার্থ হলেও তার বাস্তবায়নের রূপরেখায় গলদ ছিল। কারণ, যে সব জায়গা থেকে ভূগর্ভস্থ জল তুলে তা সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেই সব জায়গার পাথুরে জমিতে জলের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে সরবরাহ করার মতো জলের উৎস খুঁজে বের করতে কালঘাম ছোটে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারদের। এত বছর বাদে জলের উৎস সন্ধান সম্পূর্ণ হয়েছে। স্থির হয়েছে, পাথুরে জমি থেকে ভূগর্ভস্থ জল তোলার ‘বিফল’ চেষ্টা ছেড়ে মুকুটমণিপুর জলাধারের ভূপৃষ্ঠের জলকেই সরবরাহের উৎস করা হবে। সেখান থেকে পাইপ মাধ্যমে জল এনে তা পরিশোধন করে সরবরাহ করা হবে পুরুলিয়ায় প্রকল্পের আওতাভুক্ত এলাকায়। প্রশাসনের এক কর্তার বক্তব্য, “জেলার ২০টি ব্লকের মধ্যে ১৭টিক অনেক গ্রামে নলকূপের জলে অতিরিক্ত মাত্রায় ফ্লোরাইড থাকার কারণে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই জলের নতুন উৎসের খোঁজ করা জরুরি ছিল।”

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ২০১৩ সালে সেখানে নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। স্থির হয়, জাপান ইটারন্যাশনাল কোঅপরেশন এজেন্সির (জ়াইকা) থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে সেই কাজ শুরু করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাইয়ের সরকারি আদেশনামা অনুযায়ী, প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল প্রায় ১১৭৩ কোটি টাকা। কেউ কেউ অবশ্য মন করছেন, রাজনৈতিক দিক থেকেও পুরুলিয়া বর্তমানে সংবেদনশীল জেলা। তাই এখানে উন্নয়নে বিশেষ জোর দিচ্ছে সরকার। সরকার স্থির করেছে, প্রকল্পের আওতায় পুরুলিয়ার পাঁচটি ব্লকে ৪২টি জলাধারের মাধ্যমে ৮০ হাজারের বেশি সংযোগের ভিত্তিতে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, সংশোধিত এই রূপরেখার জন্য প্রায় ১২৯৬ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, “পুরুলিয়ার শুষ্ক এলাকায় জল পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে তৎপর। প্রকল্পের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এই মাসে জ়াইকার চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়া গেলে অগস্ট থেকে কাজ শুরু হবে। ৩০ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement