বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র ।
রাজভবনের সামনে বিজেপির ধর্না কবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলেই রইল কলকাতা হাই কোর্টে। ধর্নার চূড়ান্ত দিনক্ষণ নিয়ে মঙ্গলবার স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারল না বিজেপি এবং রাজ্য— দু’পক্ষই। বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, বুধবারই রাজ্যকে জানাতে হবে, রাজভবনের সামনে কবে কর্মসূচি করতে পারবেন শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্না করতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। এ নিয়ে প্রথমে আপত্তি জানালেও পরে রাজ্য জানায়, রাজভবনের সামনে কর্মসূচি করতে পারবেন বিরোধী দলনেতা। এ নিয়ে রাজ্যকে কর্মসূচির দিনক্ষণ ঠিক করে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর রাজ্য জানিয়েছিল, গত রবিবার সেই কর্মসূচি করতে পারেন বিরোধী দলনেতা। তবে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠান থাকায় সে দিন ওই কর্মসূচি করতে রাজি হয়নি বিজেপি। এর পরেই রাজ্যের কাছে বিকল্প দিন জানতে চায় আদালত।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায়, আগামী রবিবার রাজভবনের সামনে ওই কর্মসূচির আয়োজন করতে পারেন শুভেন্দু। কিন্তু ওই দিনেও রাজি হননি বিরোধী দলনেতা। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে জানান, আগামী রবিবার রথযাত্রা রয়েছে। তাই সে দিন ধর্না কর্মসূচি করা যাবে না। আগামী রবিবার কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ার পক্ষে ছিল না আদালতও। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ধর্না কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা নিয়ে আদালতের কাছে নতুন করে সময় চায় রাজ্য। যদিও বিচারপতি সিংহের নির্দেশ, বুধবারই চূড়ান্ত দিন জানাতে হবে রাজ্যকে।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’র প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। তাদের বক্তব্য, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। সে কারণে এ ধরনের কর্মসূচি সম্ভব নয়। পরিবর্তে অন্য কোথাও অবস্থানে বসার প্রস্তাবও প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দুদের। কিন্তু তাঁরা তা মানতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতে বিজেপির যুক্তি ছিল, গত অক্টোবর মাসে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনেই টানা পাঁচ দিন ধর্নায় বসেছিলেন। সে সময়ে পুলিশ তাঁদের আটকায়নি। তবে বিজেপির ক্ষেত্রে কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? এর পরেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের এজি জানান, বিজেপির কর্মসূচিতে রাজ্যের আপত্তি নেই। রাজ্য রাজি হলেও দিনক্ষণ নিয়ে দু’পক্ষের মতের মিল না হওয়ায় ঝুলেই রইল বিজেপির কর্মসূচির ভাগ্য।