দিলীপ ঘোষ —ফাইল চিত্র
গত বছর ‘আমপান’ মোকাবিলায় এবং ওই ঝড়ের ক্ষতিপূরণে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সব চেয়ে বেশি সরব ছিলেন যিনি, সেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ বার ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি দেখে সন্তুষ্ট। তিনি মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ কারও হাতে নেই। তবে মানুষের দুর্ভোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি আছে বলেই মনে হচ্ছে। আগের বার আমপানকে রাজ্য সরকার হালকা ভাবে নিয়েছিল বলে প্রস্তুতি ঠিকমতো ছিল না। এ বার মনে হচ্ছে, প্রস্তুতি ভালই আছে।’’
দিলীপবাবুদের এই অবস্থানকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজনৈতিক রং বিচার সরিয়ে সকলের কাছেই সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। পার্থবাবুর মন্তব্য, ‘‘দেরিতে হলেও ওঁদের যে শুভবুদ্ধি হয়েছে, এটা ভাল কথা। বাকিটা তো কাজে বোঝা যাবে!’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারেই আহ্বান জানিয়েছেন, করোনা এবং ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় দল-মতের পার্থক্য সরিয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমাদের সকলেরই এখন কর্তব্য কঠিন পরিস্থিতিতে আগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’’ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন মানুষের উদ্ধার বা সহায়তার জন্য সকলেই যেন প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলেন, সেই আবেদনও জানিয়েছেন পার্থবাবু।
‘ইয়াস’-এৱ তাণ্ডবে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, ত্রাণসামগ্রী নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা। সেই নির্দেশ পালনে তাঁরা কী করছেন? দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমি এখন কলকাতাতেই আছি। ঝড়ের পরে আমার লোকসভা কেন্দ্রে যাব। বিপন্ন মানুষকে সাহায্য করব।’’ কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ শুরু করেছেন বলে সামাজিক মাধ্যমে ছবি দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এখন মানুষের প্রথম কাজ হল নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়া। শুভেন্দুবাবু নিশ্চয়ই বৈঠক ও সভা করে মানুষকে সেই বার্তাই দিয়েছেন। বাকিটা বোঝা যাবে ঝড়ের পরে।’’
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন, কোভিড-বিধি মেনেই মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে সকলে যাতে সাহায্য করেন। স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েত বা পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগ মোকাবিলায় নামার কথাও বলেছেন তিনি।