প্রতীকী ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে এ বার নজরে শিক্ষা দফতরের এক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি রাজ্যের তরফেও খোঁজখবর শুরু হয়েছে। দফতর সূত্রের খবর, ওই আধিকারিক একসময় দার্জিলিং জেলায় দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তাঁর আমলে হাই স্কুলে সঠিক পদ্ধতিতে কোনও নিয়োগই হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। বদলি নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। তিনি থাকার সময় দার্জিলিং পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওই আধিকারিকের কাজকর্মের খতিয়ান নেওয়া হচ্ছে। শাসক দলের অন্দরেও ওই আধিকারিকের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে।
শাসক দলের জেলা স্তরের কিছু নেতা জানান, ওই আধিকারিক একটি হাই স্কুলেও ঠিকঠাক নিয়োগ করেননি। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন। অন্যদের চাকরি হয়েছে। সেখানে কতটা নিয়ম মানা হয়েছে তা দেখা হচ্ছে বলে তাঁরা জানান। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রের খবর, একসময় ওই অফিসার পাহাড়ের ক্ষেত্রেও নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করতেন। জিটিএ-র অধীনে স্কুলগুলিতে চাকরি হয়। সেখানে স্বজনপোষণ, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শাসক দলের একাংশের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তিনি নিজের মর্জিমাফিক দফতর চালাতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা দফতরে, বিকাশ ভবনে ওই আধিকারিকের পরিচিত কয়েক জনকে দিয়ে তিনি নিয়মিত কাজ করাতেন বলে অভিযোগ। ওই কর্মী, আধিকারিকদের অনেককেই অবশ্য সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দফতরের কয়েক জন আধিকারিক জানান, অভিযোগ, তথ্য অনেক মিলছে। কলকাতায় পৌঁছেও যাচ্ছে। সেখানে অনিয়ম, লেনদেন হয়েছে কি না তা নথিপত্র দেখেই বোঝা যাবে।
পাশাপাশি, শিলিগুড়ির গ্রামীণ এলাকার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নামও চাউর হয়েছে। অভিযোগ, তাঁর মাধ্যমে অনেকে কলকাতার শিক্ষা ভবনে তদ্বির করে বদলি হয়েছেন। তিনিই কলকাতার কার সঙ্গে দেখা করে কী করতে হবে তা বলে দিতেন বলে অভিযোগ। এক দফায় তিনি এক শিক্ষকের সঙ্গে বিমানে কলকাতা গিয়ে বদলির ব্যবস্থাও করেছিলেন বলে অভিযোগ।