SSC recruitment scam

২১ হাজার পদের নিয়োগে দুর্নীতি! সিবিআইয়ের দাবিতে বিচারপতি বললেন, ‘কাউকে ছাড়া হবে না’

গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি। শুনানিতে তাঁর দাবি, প্রায় ২১ হাজার পদের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:০০
Share:

গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের। ফাইল চিত্র ।

মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট, নিয়োগের সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে! নিয়োগ এসএসসি দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে এমনটাই দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর সেই দাবি শুনে বিচারপতি জানিয়ে দিলেন, অপরাধে যুক্ত কাউকে রেয়াত করা হবে না। গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত এক মামলায় সিবিআইয়ের সিটের নবনিযুক্ত প্রধান অশ্বিন শেনভিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই শুনানিতে উপস্থিত হয়ে অশ্বিন জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার পদের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর দাবি, ওই ২১ হাজারের মধ্যে ৯ হাজারের বেশি উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) বিকৃত করা হয়েছে।

Advertisement

আদালতে সিবিআইয়ের সিট প্রধান আরও জানান, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া এসএসসি-র হার্ড ডিস্কই এই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তরফে জানানো হয়, প্রথমে ভাবা হয়েছিল মেধাতালিকায় গোলমাল রয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায় দুর্নীতি অনেক বড়! এই সব নথি এসএসসি-কে দেখানো হয়েছে বলেও সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়।

সিটের প্রধানের চাঞ্চল্যকর দাবি শুনে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু উল্লেখ করেন, দুর্নীতিতে যুক্ত আছে এমন কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। তিনি বলেন, ‘‘আমি অবাক হচ্ছি। তদন্তে আপনার যা সাহায্য লাগবে আদালতে এসে জানাবেন। আদালত সব রকম সাহায্য করবে। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না।’’

Advertisement

এসএসসি-র উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘‘জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন।’’ তাঁর পর্যবেক্ষণ, এই দুর্নীতির তদন্তে বিচার অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা শুধু ফলাফলের আশায় বসে রয়েছেন। তাঁরা জানতে চান না সিবিআই কী করল, স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করল! যোগ্য প্রার্থীরা শুধু নিয়োগপত্র চান বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি বসু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement