বাগানবাড়িতে খোঁড়াখুঁড়ি। নিজস্ব চিত্র।
শান্তিনিকেতনে ‘অপা’র বাগানের মাটি খোঁড়া শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এখানেও কি টালিগঞ্জ এবং বেলঘোরিয়ার মতো ‘গুপ্তধন’ মিলবে? চড়চড় করে বাড়ছে উত্তেজনা। সূত্রের খবর, বাগানের মাটির দু’রকম রং দেখে সন্দেহ হয় ইডি আধিকারিকদের। এর পর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি।
এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় পার্থের গ্রেফতারির পর একাধিক জায়গায় তাঁর নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তি আছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। শান্তিনিকেতনে এখানে পার্থ ও অর্পিতার বিশাল পরিমাণ সম্পত্তির হদিস মেলে বলে জানায় তারা। তার মধ্যে একটি বাড়ির নাম ‘অপা’। বুধবারই ওই বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চলে। সূত্রের খবর, ঘরের আলমারিতে কোনও জিনিস থাকতে পারে সন্দেহ করছেন তাঁরা। কিন্তু তার চাবি পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তালা ভাঙা হতে পারে। এর পর বাগানেও খোঁড়া শুরু হয়। যদিও বৃষ্টির জন্য সেই কাজ থমকে যায় পরে।
‘অপা’র মালিক শুধুই ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন। বাড়ির দলিল দেখে এমনই দাবি করেছিলেন বোলপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ এবং অর্পিতাকে জেরা করে শ্যামবাটির এই বাড়ির খোঁজ পান ইডি আধিকারিকেরা। অনেকেরই দাবি, অর্পিতা এবং পার্থের নামের আদ্যক্ষর জুড়ে নামকরণ এই বাড়ির।