India Bangladesh Border

কাঁটাতার বসানো শুরুই হল না

বিএসএফের তরফে বেনাপোলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) মনিন্দর পিএস পাওয়ার। বিজিবির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ হুমায়ুন কবীর।

Advertisement

জয়ন্ত সেন 

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মালদহের সুকদেবপুরে খোলা সীমান্তের ভারতীয় ভূখণ্ডে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ বৃহস্পতিবারেও বন্ধ রইল। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সূত্রের খবর, এ দিন কাজ শুরু করা নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তরফে বাধা না এলেও, বিশেষ কিছু কারণে বেড়া দেওয়ার জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজ বন্ধ রাখা হয়। বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে কাঁটাতারের বেড়া দিতে চাইছি। আমরাই গর্ত খোঁড়ার কাজ বন্ধ রেখেছি। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’ এই আবহে এ দিন বাংলাদেশের বেনাপোলে বিএসএফ এবং বিজিবির কর্তাদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বিএসএফ সূত্রের দাবি, বৈঠকে সীমান্তে সমন্বয় ও শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি, সীমান্তে চলা অপরাধের বিরুদ্ধে যৌথ প্রচেষ্টা এবং সীমান্ত এলাকায় চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

বিএসএফের তরফে বেনাপোলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) মনিন্দর পিএস পাওয়ার। বিজিবির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ হুমায়ুন কবীর। বৈঠক থেকে পেট্রাপোলে ফিরে আইজি বলেন, “ভাল পরিবেশে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

মালদহের কালিয়াচক-৩ ব্লকের বাখরাবাদ পঞ্চায়েতের সুকদেবপুর বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি) থেকে সবদলপুর বিওপি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় মরাগঙ্গা নদী থাকায় সেখানে বাংলাদেশ সীমান্ত কার্যত উন্মুক্ত। মঙ্গলবার সেখানে বেড়া দেওয়ার জন্য গর্ত খোঁড়া শুরু হতেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজিবির বিরুদ্ধে। তাতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বুধবার কাজ শুরু হলেও, দুপুরের দিকে ফের বিজিবির ‘বাধায়’ বন্ধ হয়। বুধবার দুপুরে দুপক্ষে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ হয়, মহদিপুর বিওপি-তে বিএসএফ-বিজিবির কর্তাদের বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সীমান্তের যে এলাকায় বেড়া দেওয়া হচ্ছে, তার নথি-সহযোগে বিজিবির সঙ্গে আলোচনা হয় সে বৈঠকে। তবে এ দিন নতুন করে বেড়া দেওয়ার জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজ হয়নি।

Advertisement

সুকদেবপুরের বাসিন্দাদের বক্তব্য, বছরখানেক আগে ওই এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য মরা গঙ্গা নদীর পারে মাটির বাঁধ দেওয়া হলেও বিজিবির তরফে আপত্তি করা হয়নি। এ বার কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এলাকায়। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য ৪০০টি গর্ত খুঁড়তে হবে। এর মধ্যে ১০০টির বেশি গর্ত খোঁড়া হয়েছে। বাকিগুলি খুঁড়তে গেলে ‘বাধা’ আসে। এ দিন কাজ না হলেও খোলা সীমান্তে বিএসএফের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল, ছিল টহলদারিও। সুকদেবপুর এলাকার বাসিন্দাদের খোলা সীমান্তের কাছাকাছি আসতে দেওয়া হয়নি। বিকেলের দিকে সীমান্তের বাংলাদেশের দিকে কিছু মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে।

বিএসএফ সূত্র জানানো হয়েছে, অবৈধ ভাবে সীমান্ত পারাপার প্রতিরোধের ব্যবস্থা ও কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় পারস্পরিক স্বার্থের নানা বিষয়ে কথা হয়বেনাপোলের বৈঠকে। আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) নিরাপদ সীমান্ত-পরিবেশ, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে দুই বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্বে জোর দেন। দুই দেশের প্রতিনিধিরা ভারত-বাংলাদেশের সহযোগিতার মনোভাব বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

সহ প্রতিবেদন: সীমান্ত মৈত্র

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement