বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
অবৈধ উপায়ে চাকরিপ্রাপকদের চাকরি যাবে না, নতুন করে শূন্যপদ তৈরি করে তাঁদের বহাল রাখা হবে— মন্ত্রিসভার বৈঠকে তেমনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়: অবৈধ উপায়ে চাকরিপ্রাপকদের চাকরি যাবে না এবং নতুন করে শূন্যপদ পূরণ করা হবে, এ কথা কে বলেছিলেন? এই কাজ করার আগে কোনও আইনি পরামর্শ নিয়েছিলেন?
শিক্ষাসচিব: মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়: মন্ত্রিসভা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার নোট দেখান। অবৈধের চাকরি বাঁচানোর জন্য মন্ত্রিসভা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দেখান।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়: আপনার কি মনে হয় অবৈধদের চাকরি বাঁচানোর জন্য কোনও মন্ত্রিসভা বৈঠক করতে পারে? এটা একটা রাজ্যের শাসননীতি? আমি এটাই বোঝার চেষ্টা করছি, রাজ্যের মন্ত্রিসভা কী ভাবে অবৈধ চাকরি প্রাপ্যদের চাকরি রক্ষা করতে পারে? এমনকি এ নিয়ে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে! মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত কি ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী নয়? বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু এ রাজ্যের নয় গোটা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি যদি সঠিক ব্যক্তির হাতে না যায়, তবে তার উন্নতি সম্ভব নয়।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের নোট হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সুরক্ষিত ভাবে গচ্ছিত থাকবে।