প্রতীকী ছবি।
শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে তা স্বীকার করেও পর্যাপ্ত নথি আনতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এসএসসির এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আগের নির্দেশ কেন মানা হয়নি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে আদালতে এসে তা জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলাটি ফের শুনানির জন্য উঠবে।
২০১৬-য় এসএসসির নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মামলাটি করেছিলেন, তন্ময় সিংহ (ভূগোল), সুমিত্রা জানা (সংস্কৃত), নিমাই দাস অধিকারী (বাংলা), শিউলি পড়িয়া (বাংলা) এবং সিদ্ধার্থশঙ্কর জানা (ইংরেজি)। মামলাকারীদের আইনজীবী সুভাষ জানা জানান, ওই পাঁচ চাকরিপ্রার্থীর নাম মেধা তালিকার ‘ওয়েটিং লিস্টে’ ছিল। কিন্তু সেই ওয়েটিং লিস্টে যাঁদের নাম নীচে ছিল, ওই পাঁচ জনকে বঞ্চিত করে তাঁদের কয়েক জনকে চাকরি দেওয়া হয়।
সুভাষ বলেন, ‘‘১৬ জুনের শুনানিতে রাজ্য স্বীকার করেছিল, তালিকায় নীচে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, নিয়োগে যে অনিয়ম হয়েছে তা আদালতে স্বীকার করে রাজ্য।’’ তখন বিচারপতি মান্থা পরবর্তী শুনানির দিন এ সংক্রান্ত নথি পেশের নির্দেশ দেন এসএসসি কর্তৃপক্ষকে। প্রসঙ্গত, তার আগে গত ২২ মে হাই কোর্টকে জানিয়েছিল, পুরনো মেধাতালিকায় (২০১৬) নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁরা শীঘ্রই চাকরি পাবেন।
বুধবার নথি না পেশের যুক্তি হিসেবে এসএসসির আইনজীবী হাই কোর্টকে জানান, অন্য একটি মামলায় এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট নথি সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে। তাই তা আনা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘‘এই সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে। ফলে এখন এসএসসি-র ডাটা রুম সিবিআইয়ের অধীনে রয়েছে। তাই সেখান থেকে নথি আনা সম্ভব হয়নি।’’
সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘এ কথা আগে বলা হয়নি কেন? আগের শুনানিতে যখন তথ্য ও নথি আনতে বলা হয় তখন এ বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়নি। এখন নথি না নিয়ে এসে বলা হচ্ছে, সিবিআইয়ের অধীনে রয়েছে। সিবিআইয়ের কাছে কি নথি চাওয়া হয়েছিল? চাওয়ার পরও কি তারা দেয়নি? আসলে সিবিআইয়ের কাছে এই সংক্রান্ত নথি চায়নি এসএসসি।’’ এর পরেই এসএসসির চেয়ারম্যানকে বৃহস্পতিবার সকালে ১০টায় আদালতে এসে জবাবদিহির জন্য তলব করেন তিনি।