Illegal Sand Mining

Illegal sand mining: ‘আবার সক্রিয় বালি পাচার চক্র’, নথি এসেছে, দাবি সিবিআইয়ের

তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, ওই সব এলাকায় বালি পাচারের মূল নিয়ন্ত্রক কলকাতা পুলিশের কয়েকজন অফিসার।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

কয়লা নয়, নতুন করে আবার বালি পাচার শুরু হয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই।

Advertisement

যদিও এ নিয়ে তারা মামলা শুরু করেনি। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। তদন্তকারীদের অভিযোগ, নতুন করে বালি পাচার কাণ্ডে উঠে এসেছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের কয়েকজন নিচুতলার অফিসারের নামও! পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় বেআইনি পথে এই বালি পাচারে সম্প্রতি জেল-ফেরত কয়লা পাচার চক্রের এক পান্ডারও নাকি হাত রয়েছে বলেও দাবি সিবিআই আধিকারিকদের।

রাজ্য জুড়ে গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নামে সিবিআই। সেই সময়েই উঠে আসে বালি পাচারের কথাও। সিবিআইয়ের দাবি, এই গরু-কয়লা-বালি পাচারে উঠে আসে প্রভাবশালীদের নাম। তার সঙ্গে রাজ্যের একাধিক আইপিএস অফিসার ও নিচুতলার পুলিশও জড়িত রয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে তারা। যাঁদের মধ্যে অনেককেই ইতিমধ্যে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।

Advertisement

কয়লা পাচারের অভিযোগে বাঁকুড়া সদর থানার আইসি অশোক মিশ্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। সিবিআইয়ের দাবি, কয়লা পাচারের লভ্যাংশের টাকা প্রভাবশালী ও পুলিশ কর্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন অশোক। এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ তাঁদের হাতে চলে এসেছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই সংস্থার কর্তারা।

সিবিআই ও ইডি-র এই তৎপরতায় মাঝে পাচার বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় ধরপাকড়। এখনও তদন্ত চলছে। পাশাপাশি চলছে মামলাও। সিবিআইয়ের দাবি, এরই মধ্যে কয়লা পাচার বন্ধ থাকলেও পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার খাদান থেকে বালি পাচার ফের শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ওই দুই জেলার বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা ইতিমধ্যে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ওই সব বিক্ষোভের সূত্র ধরেই একাধিক তথ্য তাঁদের হাতে
উঠে এসেছে।

তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, ওই সব এলাকায় বালি পাচারের মূল নিয়ন্ত্রক কলকাতা পুলিশের কয়েকজন অফিসার। এই
অফিসারেরা প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করা হয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের তরফে।

তদন্তকারীদের দাবি, ওই সব এলাকায় বালি পাচারের সমস্ত প্যাড ও নথি তাঁদের হাতে এসেছে। ওই নথিগুলি যাচাই করা হচ্ছে। পাচার চক্রের জড়িত অফিসারদের উপরেও নজরদারি রাখা হচ্ছে। তবে স্থানীয় ভাবে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরে তা ধামাচাপা দিতে আপাতত বালি পাচার সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে সিবিআইয়ের একটি সূত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement