—প্রতীকী ছবি।
মনোনয়নের পরে যাচাই (স্ক্রুটিনি) এবং মনোনয়ন প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার শেষে অনেকটাই কমেছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে প্রার্থীর সংখ্যা। গত বারের তুলনায় এ বছর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসনের সংখ্যাও কমেছে বেশ কিছুটা। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিক থেকে এ বার সব জেলাকে ছাপিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, ওই জেলার মধ্যে এই দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রটি। তার পরেই রয়েছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। ঘটনাচক্রে, ওই কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২০ জুন (মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন) বিকেল ৪টে পর্যন্ত যে চিত্র কমিশনের কাছে ছিল, তাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭৯টিতে কোনও লড়াই হচ্ছে না। ছ’টি পঞ্চায়েত সমিতিতেও একই পরিস্থিতি। জেলা পরিষদের চারটি আসনে লড়াই হচ্ছে না। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে ৩৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে লড়াই হচ্ছে না, যা প্রায় ৪৪%। ভাঙড়-১ ব্লকের ন’টি আসনের সব ক’টিই বিনা লড়াইয়ের। ওই লোকসভা কেন্দ্রের তিনটি পঞ্চায়েত সমিতিতেও লড়াই হচ্ছে না (ভাঙড়-১, ক্যানিং-১ এবং ২)। এর পরেই রয়েছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। সেখানে ৩৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে লড়াই হচ্ছে না। যা ওই জেলার মোট বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার গ্রাম পঞ্চায়েত সংখ্যার প্রায় ৪৩%। এই পঞ্চায়েতগুলি রয়েছে ডায়মন্ড হারবার ১ ও ২ ব্লক, বজবজ ২ ব্লক, বিষ্ণুপুর ১ ব্লকে। ফলতা ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সব ক’টিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসন। একই ছবি বজবজ-১ ব্লকে। সেখানকার ছ’টির মধ্যে সবকটিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের আসন। আবার জেলার ছ’টি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয় হওয়া পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি (বজবজ-১, ফলতা ও ডায়মন্ড হারবার-২) ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে অবস্থিত।
কমিশনের শুক্রবারের তথ্য বলছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৬৩৮৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ১৭৬৭টিতে লড়াই হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সমিতির ৯২৬টি আসনের মধ্যে ২৩৩টিতে একই পরিস্থিতি। জেলা পরিষদের ৮৫টির মধ্যে আটটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসন। এক জন করে প্রার্থী থাকায় এ বার গোটা রাজ্যের পঞ্চায়েতের তিন স্তর মিলিয়ে মোট আসনের ১২.১৯ শতাংশে আর ভোট হবে না।