পাকড়াও ‘শব্দ ভূত’, হাঁপ ছাড়ল সাধু-বাড়ি

‘শব্দ ভূত’-এর রহস্য ভেদ করতে গিয়ে দিন সাতেক আগে বসিরহাটের সাধু-বাড়ি থেকে ভয়ে কাছা খুলে দৌড়ে পালিয়েছিল পুলিশ! সেই পুলিশই রবিবার ধরে ফেলল ‘শব্দ ভূত’কে। সেই ‘ভূত’ বাড়ির এক তলার ভাড়াটে বছর পঁচিশের অভিজিৎ বিশ্বাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৬ ০৩:৫৪
Share:

‘শব্দ ভূত’-এর রহস্য ভেদ করতে গিয়ে দিন সাতেক আগে বসিরহাটের সাধু-বাড়ি থেকে ভয়ে কাছা খুলে দৌড়ে পালিয়েছিল পুলিশ! সেই পুলিশই রবিবার ধরে ফেলল ‘শব্দ ভূত’কে।

Advertisement

সেই ‘ভূত’ বাড়ির এক তলার ভাড়াটে বছর পঁচিশের অভিজিৎ বিশ্বাস। তবে তাকে গ্রেফতার করা হয় এক পড়শির মোবাইল চুরির অভিযোগে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই সাধু-বাড়িতে তার কীর্তির কথা বলে দেয় ধৃত অভিজিৎ। সে কবুল করেছে, ভয় দেখিয়ে সে আনন্দ পেত। দেওয়ালে নোড়া দিয়ে বা লাথি মেরে শব্দ করত। তবে, এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

বেশ কয়েক দিন ধরেই বসিরহাটের নতুনবাজার এলাকার সাধু-বাড়িতে গভীর রাতে কখনও শোনা যাচ্ছিল হাতুড়ি পেটার মতো শব্দ, কখনও ধুপধাপ! কয়েক বছরে ওই পরিবারের তিন জনের অপমৃত্যুর ঘটনা এবং তার পরে ওই আওয়াজ— মিলেমিশে ছড়িয়েছিল ভূতের আতঙ্ক। বাড়ির অন্যতম অংশীদার দেবেশ সাধু এবং তিন ভাড়াটিয়া পরিবারও ঘটনার কথা পড়শিদের জানিয়েছিলেন। পুলিশ ডেকেছিলেন। কিন্তু পুলিশ এসে শব্দ শুনেও রহস্য ভেদ করতে পারেনি। ওই বাড়িতে আসেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যেরাও। তাঁদের অনুমান ছিল, প্রোমোটারের হাতে পুরনো দোতলা বাড়িটি সহজে তুলে দেওয়ার জন্যই এমন চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তখনও শব্দের উৎস অধরা ছিল।

Advertisement

ওই বাড়ির সামনে প্রতি রাতেই ভিড় বাড়ছিল। মঙ্গলবার ভিড় সামলাতে পুলিশ আসে। তার পরে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নজরদারির সময়ে সেই পুলিশকর্মীদের ধারণা হয়, বাড়ির একটি ঘর থেকেই আওয়াজ আসছে। তার পরে অভিজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তাঁর কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হয় পুলিশের। অভিজিৎ ধরা পড়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দেবেশবাবু এবং কয়েক জন ভাড়াটিয়া। একই সঙ্গে তাঁরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। তবে, তাঁরা জানিয়েছেন, দিন তিনেক ধরে শব্দ বন্ধ হয়েছে। অভিজিতের মা মমতাদেবী অবশ্য ছেলের কীর্তির কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ছেলে নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement