শুভেন্দুর সঙ্গে বীরভুমের এই খনি অঞ্চলে যাবেন বিজেপির আরও ১০ জন বিধায়ক। সূত্রের খবর, প্রশাসন থেকে বাধা দেওয়া হলে, তাঁরা ধরনা অবস্থানের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবেন। শুভেন্দু দাবি করেছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎখাত করে কেন্দ্রীয় পরিবেশ আইন ভেঙে ডেউচা পাঁচামিতে শিল্পপতিদের আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই তাঁরা রাজ্য সরকারের এই প্রয়াসকে ব্যর্থ করে স্থানীয় মানুষের পাশে থাকতেই সেখানে যাবেন।
বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে ডেউচা পাঁচামি যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
যে দিন পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ টানতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই দিনই ডেউচা পাঁচামি যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার নিউটাউনের কনভেনশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে দু’দিন ব্যাপী বাণিজ্য সম্মেলন। সেই সম্মেলনে বিনিয়োগ টানতে ডেউচা পাঁচামিকেই তুলে ধরতে চান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পাল্টা বিজেপি বিধায়করা সেখান গিয়ে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভকে প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন।
শুভেন্দুর সঙ্গে বীরভুমের এই খনি অঞ্চলে যাবেন বিজেপির আরও ১০ জন বিধায়ক। সূত্রের খবর, প্রশাসন থেকে বাধা দেওয়া হলে, তাঁরা ধরনা অবস্থানের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবেন। শুভেন্দু দাবি করেছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎখাত করে কেন্দ্রীয় পরিবেশ আইন ভেঙে ডেউচা পাঁচামিতে শিল্পপতিদের আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই তাঁরা রাজ্য সরকারের এই প্রয়াসকে ব্যর্থ করে স্থানীয় মানুষের পাশে থাকতেই সেখানে যাবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিধায়কদের সঙ্গে ডেউচা পাঁচামি যাওয়ার কর্মসূচি থাকলেও, শেষ মুহূর্তে তা বদল করা হয়েছে। বীরভুমের ময়ুরেশ্বরে বিজেপির এক কর্মী মারা যাওয়া, সেখানে যাচ্ছেন তিনি।
সোমবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় জমিহারা পরিবারের কয়েক জনকে চাকরির নিয়োগপত্র, পাট্টা ও চেক প্রদানের একটি অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু স্থানীয় আদিবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বেশ কয়েক জন বহিরাগত। ‘বহিরাগতদের আসা বন্ধ করতে হবে’— এই দাবিতে তাঁরা ডেউচা পাঁচামি কোল ব্লক এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন। কোল ব্লক এলাকায় ঢোকার আগেই মথুরা পাহাড়ি, দেওয়ানগঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকায় হাতে তির-ধনুক নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। প্রশাসনের আধিকারিকেরা দফায় দফায় আলোচনা চালান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে । কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকি, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় এবং জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীও ঢুকতে পারেননি এলাকায়। তাঁরা গ্রামের অদূরে পৌঁছলেও ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে বিক্ষোভের জেরে অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। মঙ্গলবার আবার এই প্রকল্পে জমিদাতারা কবে চাকরি পাবেন, তা জানতে জেলাশাসকের দফতরের এসেছিলেন বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ। পর পর এমন ঘটনায় চাপে পড়েছে বীরভুম জেলা প্রশাসন।
বিজেপি পরিষদীয় দল, স্থানীয় মানুষের এই বিক্ষোভের কথাই জানতে ডেউচা পাঁচামি যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতার সফরসঙ্গী পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। সরকার বিরোধীদের ডেউচা পাঁচামিতে যাওয়া ভেস্তে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে বিজেপি। তাই শেষ মুহূর্তের কর্মসূচিতেও বদল আনতে পারেন বিরোধী দলনেতা।