Kalighat Temple

কালীঘাট মন্দির চত্বরে দোকান বণ্টন করা হবে লটারিতে, স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই সিদ্ধান্ত

কালীঘাট মন্দিরের জন্য স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে গত এক বছর ধরে। সেই কারণে মন্দিরের উল্টো দিকে থাকা দোকানগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাজরা পার্কে। স্কাইওয়াক নির্মাণ সম্পন্ন হলে সেগুলিকে আবার স্বস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৫০
Share:

কালীঘাট মন্দিরের একেবারে সামনে থাকা দোকানগুলিকে এ বার মন্দির চত্বরের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফাইল চিত্র।

কালীঘাট মন্দিরের সামনে থাকা দোকানগুলিকে নিয়ে যাওয়া হবে মন্দির চত্বরের ভিতরে। সেখানে দোকান বণ্টন নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে করা হবে লটারি। মন্দির সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। কালীঘাট মন্দিরের ঢোকার জন্য স্কাইওয়াক নির্মাণ হচ্ছে গত এক বছর ধরে। সে কারণে মন্দিরের উল্টো দিকে থাকা দোকানগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাজরা পার্কে। স্কাইওয়াক নির্মাণ সম্পন্ন হলে সেগুলিকে আবারও স্বস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি কালীঘাট মন্দিরের একেবারে সামনে থাকা দোকানগুলিকে এ বার মন্দির চত্বরের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মন্দিরের পিছনের যে অংশে উন্মুক্ত জায়গা রয়েছে, সেখানেই নতুন দোকান নির্মাণ করে দোকানদারদের স্থানান্তরিত করা হবে। এই কাজের দায়িত্ব যৌথ ভাবে হাতে নিয়েছে কালীঘাট মন্দির কমিটি ও কলকাতা পুরসভা। ঠিক হয়েছে, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে লটারির মাধ্যমে দোকানদারদের জায়গা বণ্টন করা হবে। ফলে কোনও দোকানদারের আর দোকান বণ্টন নিয়ে অভিযোগের সুযোগ থাকবে না বলে মনে করছে তাঁরা।

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এই লটারি হবে কালীঘাটে। নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে লটারির অনুষ্ঠানটি হবে ওয়ার্ড অফিসে। উপস্থিত থাকবেন কলকাতা পুরসভার কর্তারা। থাকবেন কালীঘাট থানার আধিকারিকরা এবং কালীঘাট মন্দির কমিটির শীর্ষ দায়িত্বপ্রাপ্তরাও। কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধি ও স্থানীয় বিশিষ্টজন হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ‘‘দোকান বণ্টনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে যা যা করণীয় আমরা সব বন্দোবস্তই রাখছি। আশা করব লটারির মাধ্যমে দোকান বণ্টন হলে কোনও রকম অভাব অভিযোগ থাকবে না।’’ মন্দির কমিটির সূত্রে খবর, মোট ৮৭টি দোকান নির্মাণ হবে কালীঘাট মন্দির চত্বরে। যার মধ্যে ৮৪টি ডালা-সহ পুজো সামগ্রী বিক্রির দোকান। বাকি তিনটি হবে ফুলের দোকান।

Advertisement

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কালীঘাট মন্দিরের সামনে থাকা দোকানগুলির স্থানান্তর প্রক্রিয়া মসৃণ ভাবেই হচ্ছে। কিন্তু স্কাইওয়াক নির্মাণের জেরে মন্দিরের বাইরে থাকা যে দোকানগুলিকে হাজরা পার্কে সরানো হয়েছে সেগুলি কবে নিজ স্থানে ফিরে আসবে তা এখনও জানা যায়নি। কারণ স্কাইওয়াক নির্মাণ কবে শেষ হবে, তার উপরই নির্ভর করছে দোকানদারদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement