Murder at Malda

মালদহে প্রথমে গুলি, তার পর মাথা থেঁতলে খুন তৃণমূল কর্মীকে, আহত অঞ্চল সভাপতিও

আবার মালদহে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। দুলাল সরকার খুনের ১২ দিনের মাথায় প্রকাশ্যে আবার মালদহে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। এ বার ঘটনাস্থল কালিয়াচক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:২৮
Share:

আবার সেই মালদহ। গুলিতে নিহত এক। আহত এক তৃণমূল কর্মী। — নিজস্ব চিত্র।

আবার মালদহে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। দুলাল সরকার খুনের ১২ দিনের মাথায় প্রকাশ্যে আবার মালদহে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। এ বার ঘটনাস্থল কালিয়াচক। এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তবে আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচকের নয়া বস্তি এলাকায় নিকাশি এবং রাস্তা উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের নওদা যদুপুর এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। অভিযোগ, সে সময় আচমকাই কয়েক জন দুষ্কৃতী হামলা চালায় বকুলের উপর। গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। আহত হন আরও কয়েক জন। ঘটনাস্থলের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।) সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে গুলি চালানো হয়। তার পর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে এক জন খুন করেন কয়েক জন।

ঘটনাস্থল থেকে বকুল এবং আরও এক তৃণমূল কর্মী এসারুদ্দিন শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দু’জনেরই অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় পর্যন্ত অন্য এক জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। মৃতের নাম হাসান শেখ। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে তিনিও উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

কী কারণে গুলি চলল, তা এখনও ধোঁয়াশা। কে বা কারা বকুলদের উপর হামলা চালালেন, তা-ও জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। তবে এলাকার একাংশের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কালিয়াচকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে বকুলের অভিযোগ, অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করছিলেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জন ছিলেন। বচসার মাঝেই আচমকা বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। জাকির শেখ নামে এক তৃণমূল নেতার দিকে অভিযোগের তির বকুলের। এ প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘এই নিয়ে এখনই কিছু বলব না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি ঘটনার কথা জিজ্ঞেস করেন অবশ্যই জানাব।’’ মালদহের তৃণমূল নেতা আশিস কুন্ডু জানান, কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত, তা পুলিশ খুঁজে বার করবেই।

গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের কারখানার সামনেই খুন হন দুলাল (বাবলা)। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রাণ বাঁচাতে কারখানায় ঢুকে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। দুলালকে খুনের অভিযোগে নাম জড়িয়েছে এলাকারই আর এক তৃণমূল নেতার। পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে তৃণমূল নেতা তথা দলের মালদহ শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। পরে তৃণমূল নরেন্দ্রনাথকে দল থেকে বহিষ্কার করে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার মালদহে গুলি চলল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement