santiniketan

রাজনীতি না, শিবমের বাবার বার্তা সুকান্তকে

পাঁচ বছরের শিবম ঠাকুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বুধবার এক দিকে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কেরা হট্টগোল বাধান। অন্য দিকে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এলাকায় ঢুকতে চেয়ে ব্যর্থ হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০৫
Share:

বাধা কাটিয়ে নিহত শিবমের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

রাজনীতি চাইছে না শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা। কিন্তু, শিবম-খুনে রাজনীতি এড়ানো যাচ্ছে কই?

Advertisement

পাঁচ বছরের শিবম ঠাকুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বুধবার এক দিকে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কেরা হট্টগোল বাধান। অন্য দিকে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এলাকায় ঢুকতে চেয়ে ব্যর্থ হন। বৃহস্পতিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শতাধিক কর্মীকে নিয়ে মিছিল করে মোলডাঙার মুখে পৌঁছতেই ফের তাঁদের পথ আটকান স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু হয় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ। তাঁকেও ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়। মিনিট চল্লিশেক বিক্ষোভ চলার পরে শিবমের বাবা শম্ভু ঠাকুর ও তাঁর কয়েক জন আত্মীয় রাস্তাতেই সুকান্তের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন। তাঁদের অনুমতি পাওয়ার পরে কয়েক জন বিধায়ককে নিয়ে শিবমের বাড়িতে যান সুকান্ত। শম্ভু পরে বলেন, “আমরাও চাই না, এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগুক। কিন্তু কেউ না শুনলে কী করব!”

পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে সুকান্তও বলেন, “আমরাও এই ঘটনায় রাজনীতি রং দিতে চাই না। পরিবারের পাশে আছি। পরিবারের লোকেরা বলছেন, এক জন মহিলা (মূল অভিযুক্ত রুবি বিবি) এই কাজ করতে পারে না। ওই পরিবারের আরও চার সদস্য রয়েছেন। শিবমের বাড়ির লোকজন যদি কোনও আইনি সাহায্য চান, আমরা তা দিতে রাজি আছি।’’ তাঁর দাবি, পুলিশের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে সন্তোষজনক নয়। একটি শিশুর দেহ তারই পাশের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হল, অথচ পুলিশ খুঁজে পেল না, এটা কী করে সম্ভব— প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে সুকান্তের দাবি, ‘‘নারী সুরক্ষার পাশাপাশি শিশু সুরক্ষাও এ রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিহারে একটা সময় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় ব্যবসায় পরিণত হয়ে গিয়েছিল, আজ পশ্চিমবঙ্গও সেই দিকে এগোচ্ছে।’’ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “একটি শিশুকে খুন করা হয়েছে, অথচ বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে! এলাকার মানুষ এবং আমরা চাই, দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক।’’

এ দিন সকালে মোলডাঙায় নিহতের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। ঘটনাস্থলটিও ঘুরে দেখেন। সুদেষ্ণা বলেন, “শিশুটির পরিবার যেমন তাঁর শাস্তি দাবি করছে, আমারও মনে হয় অভিযুক্তের যথাযথ শাস্তি পাওয়া উচিত।”

এ সবের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত রুবির ‘স্বীকারোক্তি’ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো এ দিন ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে পুলিশের গাড়িতে রুবি। তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘বাচ্চাটাকে সঞ্জীব আমার কাছে এনে দিয়েছিল, ও বলল রেখে দিতে।’ এক মহিলা পুলিশকর্মী প্রশ্ন করেন, ‘মারলে কেন, ছেড়ে দিলেই তো পারতে রাত্রিবেলায়…’। রুবি বলে, ‘তার মাঝেই…’। মহিলা পুলিশকর্মীর প্রশ্ন, ‘তার মাঝেই মেরে দিলি?’ রুবি বলে, ‘হুম’!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement