১৬ তারিখ থেকে দেখা যাবে এই চিত্র। প্রতীকী ছবি।
১৬ নভেম্বর স্কুল খুলছে রাজ্য জুড়ে। আর সেই কারণে রাজ্যে পুল কার মালিকদের সংগঠনগুলিকে চিঠি পাঠাল রাজ্য সরকার। পরিবহণ ভবন-২ কসবা থেকে ৯ তারিখ চিঠিটি পাঠানো হলেও, শনিবার পুল কার সংগঠনগুলি চিঠি হাতে পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল খোলার ঘোষণার আগেই গত ৪ অক্টোবর নিজেদের পেশার তাগিদে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে একটি দাবিপত্র দিয়েছিল পুল কার মালিকদের সংগঠন 'পুল কার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন'। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরের প্রশাসনিক বৈঠকে স্কুল খোলার নির্দেশ দিতেই আবারও নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে সক্রিয় হয় সংগঠনটি। ১ নভেম্বর সংগঠনের প্রতিনিধিরা পরিবহণ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। গত ৩ নভেম্বর কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও পুল কার মালিকদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে গাড়িগুলির ‘ইলেট্রিক্যাল পার্ট’ ও ‘মেকানিক্যাল পার্ট’ ভাল রাখতে বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষে। তার পরেই এমন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
‘পুল কার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘চিঠিতে যে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুল কার চালানোর কথা বলা হয়েছে, আমরা সেই সব বিধি মানার সব ব্যবস্থাই গাড়িতে রাখছি। কিন্তু পুল কার পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু শর্ত রয়েছে, সেগুলি আমরা পরিবহণ দফতরকে জানিয়েছি।’’ ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত চারটি জেলা মিলে সাড়ে তিন হাজার গাড়ি চলত। কিন্তু এই মুহূর্তে শ’দুয়েক গাড়ি বার হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন পুল কার মালিকরা। কারণ, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে মার্চ মাস থেকে আর গড়ায়নি পুল কারগুলির চাকা। ফলে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে গাড়ি মালিকদের বড় অংশই তাঁদের পুল কার চালাতে চান।