গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের কিছু পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে অভিষেক শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
পাশাপাশি হাই কোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ বদলের জন্যেও আবেদন জানিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে বলেছে, ‘‘কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ নিয়ে পর্যবেক্ষণ রেখেছে। তাই এই অবস্থায় আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। অভিষেকের কোনও বক্তব্য থাকলে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই জানাতে হবে।’’
গত শুক্রবারও বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের আর্জি খারিজ করে জানিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা হবে না। বিচারপতি অমৃতা সিংহের একক বেঞ্চ এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপের আবেদন খারিজ করলেও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল ইডিকে আইন মেনে কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক, তাঁর পরিবার এবং লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির বিরুদ্ধে ইডিকে নির্দিষ্ট করে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিংহ। কম সময়ের ব্যবধানে প্রায় ১০ বছর আগের নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিতে বলা হয়েছে। অভিষেকের আইনজীবীর অভিযোগ, আদালত তদন্তে ‘নজরদারি’র পরিবর্তে ‘তদারকি’ করছে। যদিও কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ অভিষেকের আবেদনে সাড়া দেয়নি। বরং বেঞ্চ তাঁকে তদন্তে সাহায্য করতে বলে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, এত গুরুত্বপূর্ণ তদন্তে ইডি যে তথ্য এবং নথি চেয়েছে তা কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। তদন্তের স্বার্থে তথ্য এবং নথি না দিলে তার প্রভাব সাংঘাতিক হতে পারে। এমনকি, এ নিয়ে জনসাধারণের মনে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।