গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পাঁচ মাস আগে তাঁর নির্দেশের পরে মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসা শুরু হয়েছিল। মণিপুর হাই কোর্টের সেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এমভি মুরলীধরনকে এ বার বদলি করা হতে চলেছেন কলকাতা হাই কোর্টে।
বিচারপতিদের নিয়োগ এবং বদলির দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের কাছে বিচারপতি মুরলীধরন মাদ্রাজ হাই কোর্টে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে পূর্ব ভারতেরই বৃহত্তম হাই কোর্টে বদলির সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম।
এই বিচারপতিই মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়কে ‘তফসিলি জনজাতি’ মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। যা ঘিরে কুকি জনজাতিদের বিক্ষোভ থেকে হিংসার সূত্রপাত হয়েছিল। বিচারপতি মুরলীধরন মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে।
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তি শুরু হয়। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। হিংসার সেই আবহেই এ বার ইম্ফল থেকে কলকাতায় আসছেন বিচারপতি মুরলীধরন।