গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ইজ়রায়েলে হামলাকারী হামাস বাহিনীকে খোলাখুলি সমর্থন জানালেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি। গাজ়া ভূখণ্ডে যুদ্ধের আবহে মঙ্গলবার তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্যালেস্তাইনবাসীর জন্য আমি গর্বিত।’’ তবে সেই সঙ্গেই তিনি দাবি করেছেন, শনিবার ভোরে গাজ়া সীমান্তবর্তী ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের ধারাবাহিক রকেট হামলায় ইরানের কোনও মদত নেই।
গাজ়া সীমান্তে হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড এবং ইজ়রায়েলি সেনার যুদ্ধ শুরুর চতুর্থ দিনে মঙ্গলবার প্রথম ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে বক্তৃতা করেন আয়াতোল্লা। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা পরিকল্পিত ভাবে জায়নবাদী (উগ্র ইহুদিপন্থী এবং হিব্রু একাধিপত্যবাদী) রাষ্ট্রের উপর আঘাত হেনেছেন তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। তবে যাঁরা ইজ়রায়েলে হামাসের হামলার পিছনে ইরানের হাত খুঁজছেন, তাঁরা ভুল করছেন।’’
হামাসের হামলা ইজ়রায়েলে গোয়েন্দা এবং সামরিক ব্যর্থতাকে প্রকট করেছে দাবি করে আয়াতোল্লার মন্তব্য, ‘‘এই ক্ষত পূরণ হওয়ার নয়।’’ সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আমেরিকা জানিয়েছিল, ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধে জড়ালে পরিণাম খারাপ হবে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তৃতায় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ওয়াশিংটনের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসি। তিনি বলেন, ‘‘অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মুনাফা করার সুযোগ করে দিতেই ইউক্রেনে অশান্তি জিইয়ে রাখা হচ্ছে।’’ সেই সঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তৃতায় রইসি আমেরিকাকে নিশানা করে বলেন, ‘‘আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়া মনে করে, তাদের দেশ সুসজ্জিত উদ্যানের মতো। আর বাকি বিশ্ব জঙ্গলের রাজত্ব। তারা গোটা বিশ্বকে তাদের পছন্দ অনুসারে গড়ে তুলতে চায়। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা কখনওই সফল হবে না। আমেরিকা এবং পশ্চিমী দেশগুলির দিন ঘনিয়ে এসেছে।’’ রইসির বক্তৃতার সময় রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজ়রায়েলের প্রতিনিধি গিলার্ড এর্ডান প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।