তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর (বাঁ দিকে), সাগরিকা ঘোষ (ডান দিকে) মনোনয়ন জমা দিলেন। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী সাগরিকা ঘোষ এবং মমতাবালা ঠাকুর বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার অন্য দুই প্রার্থী সুস্মিতা দেব এবং নাদিমুল হক মঙ্গলবারই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তরফে এক্সে লেখা হয়, ‘‘গর্বের বিষয়, রাজ্যসভায় আমাদের চার জন প্রার্থীর মধ্যে তিন জনই মহিলা। কথোপকথন এবং কার্যকারিতা, দুই ক্ষেত্রেই প্রতিনিধিত্ব করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’
বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে এ বার তৃণমূলের চার জন এবং বিজেপির এক জন প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। অন্য কেউ প্রার্থী না হলে পাঁচ জনের মধ্যে ভোটাভুটি হবে না। তৃণমূলের চার প্রার্থীর মধ্যে সাগরিকা নতুন মুখ। তিনি দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। মমতাবালা ২০১৪-২০১৯ পর্যন্ত বনগাঁ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ ছিলেন। রাজ্যসভায় তাঁর এই প্রথম মনোনয়ন। নাদিমুলকে রাজ্যসভায় আবার টিকিট দিয়েছেন শীর্ষনেতৃত্ব। সুস্মিতাকে ২০২১ সালে মানস ভুঁইয়ার ফাঁকা আসনে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু গত অগস্টে তাঁকে আর সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ বার ফের তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের একটি সূত্র জানিয়েছিল, নিজের প্রার্থী হওয়ার খবর অনেক দেরিতে জেনেছেন সাগরিকা। তাই রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী হতে গেলে যে সমস্ত নথির প্রয়োজন হয়, তা জোগাড় করতে তাঁর একটু সময় লাগছে। সে কারণেই, মঙ্গলবার তিনি মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। বৃহস্পতিবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার পর মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি হবে।
রাজ্যসভায় বিজেপির মনোনীত প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য। তিনি গত মঙ্গলবারই বিধানসভায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শমীক এর আগে বসিরহাট দক্ষিণ থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। সংসদে যাওয়া তাঁর এই প্রথম।