(বাঁ দিকে) সুস্মিতা দেব এবং নাদিমুল হক। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য সঙ্গে রয়েছেন রাহুল সিন্হা। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের দু’জন রাজ্যসভার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মঙ্গলবার। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি না হওয়ার জন্য অন্য দু’জন মনোনয়ন দাখিল করতে পারলেন না। মঙ্গলবার বাংলার শাসকদলের টিকিটে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সুস্মিতা দেব এবং নাদিমুল হক। মমতাবালা ঠাকুর ও সাগরিকা ঘোষ বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেবেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। ওই দিনই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার পর মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি হবে। মঙ্গলবার অবশ্য বিধানসভায় গিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ সেরে রাখলেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য।
বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলের চার জন এবং বিজেপির এক জনের জয় নিশ্চিত। অন্য কেউ প্রার্থী না হলে এঁদের মধ্যে ভোটাভুটিও হবে না। তৃণমূল সংসদের উচ্চকক্ষে চার জনের মধ্যে তিন জন মহিলাকে পাঠাচ্ছে। যাঁদের মধ্যে সাগরিকা একেবারে নতুন মুখ। তিন দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। মমতাবালা ২০১৪-২০১৯ পর্যন্ত বনগাঁ থেকে তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ ছিলেন। রাজ্যসভায় তাঁর এই প্রথম মনোনয়ন। নাদিমুলকে ফের টিকিট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুস্মিতাকে ২০২১ সালে মানস ভুঁইয়ার ফাঁকা আসনে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু গত অগস্টে তাঁকে আর সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনয়ন দেয়নি বাংলার শাসকদল। এ বার ফের তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। কাগজপত্র তৈরি করে মঙ্গলবার সকালেই অসম থেকে কলকাতায় পৌঁছেছিলেন সুস্মিতা।
বিজেপি অবশ্য রাজ্যসভার প্রার্থী বাছাইয়ে কোনও পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে যায়নি। কয়েক মাস আগে অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠানোয় সুবিধা মিলেছে কি না তা নিয়ে পদ্মশিবিরের মধ্যেই বিবিধ মত রয়েছে। ঘরোয়া আলোচনায় তা গোপনও করেন না নেতারা। এ বার পরীক্ষিত নেতা, দীর্ঘদিনের মুখপাত্র শমীককে তারা উচ্চকক্ষে পাঠাচ্ছে। শমীক এর আগে বসিরহাট দক্ষিণ থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। সংসদে যাওয়া তাঁর এই প্রথম।