Mid Day Meal

মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে মেদিনীপুরের স্কুলে অসুস্থ প্রায় ৩০ জন পড়ুয়া, উত্তেজনা হাওড়ার স্কুলেও

গড়বেতার প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়া এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, মিড ডে মিলের খাবারে প্রায়শই পোকামাকড় থাকে। মঙ্গলবার সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জনের অসুস্থতার খবর মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

গড়বেতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩৭
Share:

অসুস্থ পড়ুয়াকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।

মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার একটি প্রাথমিক স্কুলে অসুস্থ প্রায় ৩০ জন ছাত্রছাত্রী। অন্য দিকে, হাওড়ার বাঁকড়ার একটি প্রাথমিক স্কুলে মিড মিলের খাবারে পোকা মেলা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল মঙ্গলবার।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, গড়বেতা-৩ ব্লকের নয়াবসতে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু বিদ্যাপীঠে একটি আবাসিক স্কুলে মঙ্গলবার মিড ডি মিলের খাবার খাওয়ার পর একের পর এক পড়ুয়া অসুস্থ হতে শুরু করে। অসুস্থের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় উদ্বেগ ছড়ায়। প্রথমে ১০ জন পড়ুয়াকে দ্বারিগেড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পরে আরও কয়েক জন পড়ুয়ার শারীরিক সমস্যা হওয়ায় তাদেরও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জনের অসুস্থতার খবর পাওয়া গিয়েছে। অসুস্থ কচিকাঁচাদের প্রত্যেকের পায়খানা, বমি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

পড়ুয়া এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, ওই স্কুলের মিড ডে মিলের খাবারে প্রায়শই পোকামাকড় থাকে। সুপারকে জানানো হলেও সেই কথায় গুরুত্ব দেননি তিনি। শিশুদের অসুস্থতা এবং খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানশিক্ষক বিনোদবিহারী মণ্ডল বলেন, ‘‘মিড ডে মিলের খাবার খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’ যদিও পোকামাকড় মেলার অভিযোগ এড়িয়ে যান তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘মিড ডে মিলের খাবার খাওয়ার পর অনেক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। ১০ জনকে দ্বারিগেরিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানোর খবর পেয়েছি। স্কুলে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। ফুড পয়জ়নিং-এর কারণে এই সমস্যা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।’’

Advertisement

হাওড়ার বাঁকড়ার মুন্সিডাঙা বোর্ড প্রাথমিক স্কুলেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে। সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটির পর মিড ডে মিলের খিচুড়ি বাড়ি নিয়ে যায় শিশুরা। একটি শিশুর খাবারে পোকা দেখতে পান সাবিনা বেগম নামে এক অভিভাবক। তিনি ওই খাবার নিয়ে কর্তৃপক্ষকে দেখান। খবর পেয়ে সেখানে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। অন্য অভিভাবকরাও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জড়ো হন। শিশুদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বাচ্চাদের সকলেই সুস্থ রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে হাওড়া জেলা প্রাথমিক স্কুলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘শিশুদের খাবার নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা-না হয় এবং শিশুরা যাতে খাবার খেয়ে সুস্থ থাকে, সে জন্য আগে থেকেই নির্দেশ দেওয়া আছে। তবুও কেন এ রকম ঘটনা ঘটল তা প্রশাসন খতিয়ে দেখছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement