বুলডোজ়ার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল কার্যালয়। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মাফিক রাজ্যের নানা প্রান্তে বেদখল হওয়া সরকারি জমি উদ্ধারে হাত লাগিয়েছে প্রশাসন। এ বার সরকারি জমির উপর অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা শাসকদলের কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বুলডোজ়ার দিয়ে।
মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সিটি সেন্টারের পাশে তৃণমূলের একটি ব্লক কার্যালয় তৈরি হয়েছিল। সরকারি জমির উপর অবৈধ ভাবে ওই কার্যালয় গড়ে ওঠার অভিযোগে দিন কয়েক আগে নোটিস দিয়েছিল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। তখনই তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকেরা অফিস থেকে জিনিসপত্র বার করে নেন। তার পর সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার তৃণমূলের কার্যালয়ে বুলডোজ়ার চালাল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
কার্যালয় ভাঙা প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নোটিস পাওয়ার পরে আমরা নিজেরাই টিনের চাল খুলে দিই এবং ভিতরের আসবাবপত্র বার করে নিয়েছিলাম। লোকসভা নির্বাচন-সহ একাধিক নির্বাচন এই কার্যালয় থেকে পারিচালনা করা হয়েছে।’’ তৃণমূল নেতার সংযোজন, ‘‘চোখে কালো কাপড় বেঁধে যেন সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়। নিরপেক্ষ ভাবে উচ্ছেদ অভিযান হয়।’’
অন্য দিকে, বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কয়েক মাস আগে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা একটি ক্লাব আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে ভেঙে ফেলা হল। কিন্তু আগে কেন ওই কার্যালয় ভেঙে ফেলা হলল না? আসলে মানুষের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তবে মানুষ সবই বোঝেন।’’
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পর রাজ্যের নানা জায়গায় এখনও উচ্ছেদ অভিযান চলছে। মমতা জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন জায়গায় সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও টাকা নিয়ে সরকারি জমি বিক্রিও করা হচ্ছে। এ নিয়ে দ্রুত প্রশাসনকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন তিনি।