এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মহিলার মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার হল নদী থেকে। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনায় শোরগোল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চণ্ডীয়া নদী থেকে একটি বস্তাবন্দি দেহ পাওয়া গিয়েছে। দেহটি মহিলার। কিন্তু মুণ্ডু নেই। সেই কাটা মাথার সন্ধানে চণ্ডীয়া নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি চালাল পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ময়না ও সবং থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাটা মাথার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর।
জানা যাচ্ছে, গত রবিবার চন্ডীয়া নদীতে একটি সন্দেহজনক বস্তা ভেসে আসে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার রায়চকে। ওই বস্তা থেকে ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। খবর পেয়ে ময়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বস্তাটি উদ্ধার হয়। বস্তার মুখ খোলার পর মেলে এক মহিলার ধড়হীন অর্ধনগ্নদেহ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে মৃতা বিবাহিতা। বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের আশপাশে। খুনের পর পরিচয় আড়াল করতেই সম্ভবত মাথা কেটে আলাদা করে দেহটিকে বস্তাবন্দি করে নদীতে ছুড়ে ফেলেছেন খুনি। মৃতার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। সে জন্য নদীর দুই পাশে অবস্থিত থানাগুলিতে খবর পাঠানো হয়েছে।
ময়না থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ওসি-সহ তমলুকের মহকুমার পুলিশ আধিকারিক, পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার ওসি এবং পুলিশকর্মীরা যৌথ ভাবে চণ্ডীয়া নদীতে তল্লাশি করেন। ড্রোন ওড়ানো হয়। জাল ফেলা হয় নদীতে। মঙ্গলবার দিনভর তল্লাশির পরেও কাটা মুণ্ডুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। সেটা উদ্ধার না-হওয়া পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।