Suvendu Adhikari on RG Kar Rape And Murder Case

‘ঘটনা বিরলতমই, পরিবার বড় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত’, আরজি করে নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে বললেন শুভেন্দু

আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শাস্তি ঘোষণার পর শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, এই রায়ে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে খুশি নন। নির্যাতিতার পরিবারের আইনি সহায়তা প্রয়োজন হলে তিনি পাশে থাকবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২৬
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

আরজি কর-কাণ্ডে শাস্তি ঘোষণার পরের দিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হচ্ছে। নির্যাতিতার বাবা-মা তাঁর উপরে ভরসা রাখেন। প্রায় ৩০ মিনিট তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে বলেও জানান শুভেন্দু। সোমবার আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমরণ কারাবাসের শাস্তি দেয় শিয়ালদহ আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর নির্দেশে জানান, বিরলের মধ্যে বিরলতম নয় এই ঘটনা। শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, ওই রায়ে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি খুশি নন। মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে কুর্নিশ। ওঁদের একটি পিটিশনের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সামগ্রিক ভাবে ওঁরা বৃহত্তর আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন।’’ শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘আমি নিজেকে তাঁদের পরিবারের এক জন বলে মনে করি। আমি তাঁদের সঙ্গে রয়েছি। যে ভাবে ওঁরা সহযোগিতা চাইবেন, সে ভাবে আমার সাধ্যমতো ওঁদের সাহায্য করব।’’

Advertisement

শুভেন্দুর সঙ্গে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য গিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। বিজেপি সূত্রের খবর, আইনি সাহায্যের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারের। সোমবার আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শাস্তি ঘোষণার পর শুভেন্দু জানিয়েছিলেন এই রায়ে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে খুশি নন। তাঁর দাবি, সমাজের প্রত্যেকে দোষীর মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন। আবার দোষীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রাজ্য সরকারের হাই কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্তকেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘ও সব ড্রামাবাজি (নাটক)।’’

মঙ্গলবার শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমার মতে ঘটনাটি (আরজি কর-কাণ্ড) বিরলতমই। জাজমেন্টে (বিচারে) অনেকগুলো বিন্দু আছে। অনেকগুলো ভাল কথা বলেছেন বিচারক। কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল থেকে সিবিআই নিয়ে বেশ কিছু ত্রুটির কথা বলেছেন। তবে বিচারব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েই বলছি, সরকারি কর্মক্ষেত্রে এক জন মহিলা চিকিৎসককে যে ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, আমার ব্যক্তিগত মত, এটা বিরলতম ঘটনা। অনেক বড় লড়াই হবে। পরিবার তার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement