মুকুল এবং শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়। ১১ জুন কলকাতার তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিক যোগদানের পরে পরেই কেন্দ্রীয় বিজেপি-র পদাধিকারীর সংখ্যা কমে গিয়েছিল। ওয়েবসাইটে ১৩ জন সহ-সভাপতি কমে হয়ে গিয়েছিল ১২। সেই সন্ধ্যাতেই ওয়েবসাইট থেকে মুছে দেওয়া হয়েছিল মুকুলের ছবি ও নাম। কিন্তু তার পরেও কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি-র রাজ্য দফতরে মুকুলের ঘরের দরজায় নেমপ্লেটের দাগ থেকে গিয়েছিল। সেই ছবি প্রকাশ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। এ বার নেমপ্লেট তোলার সেই দাগটিও মুছে দিল বিজেপি। সেখানে লাগানো হল দুই কেন্দ্রীয় নেতার নাম— অমিত মালব্য এবং অরবিন্দ মেনন। দু’জনেই রাজ্য বিজেপি-র সহ পর্যবেক্ষক। সেই সঙ্গে অমিত বিজেপি-র সর্বভারতীয় আই-টি সেলের প্রধান এবং অরবিন্দ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকদের অন্যতম।
রাজ্য বিজেপি-র হেস্টিংসের দফতর থেকেই বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই রাজ্য ও বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের দফতর হয়ে ওঠে হেস্টিংস মোড়ের কাছে ‘আগরওয়াল হাউস’-এর অষ্টম এবং নবম তল। তখন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়া রাজ্য নেতাদের ঘর ছিল অষ্টম তলেই। সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুলের জন্য বরাদ্দ ছিল পাশাপাশি ৮০২ এবং ৮০৩ নম্বর ঘর। মুকুলের ঘরের ভিতরে আরও একটি ঘর রয়েছে। সেখানে সাধারণত বিশ্রাম নিতেন আপাতত কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। তবে বিধায়ক হওয়ার পরে সে ভাবে আর ওই ঘরে যাননি মুকুল। এখন সেই দু’টি ঘরেই বসবেন অমিত ও অরবিন্দ। দু’জনেই এতদিন বসতেন অষ্টম তলের একটি ঘরে।
বিজেপি দফতরে মুকুলের ঘর এখন অমিত, অরবিন্দের। নিজস্ব চিত্র।
পদোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দলীয় দফতরেও তল-উন্নতি হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। বিজেপি-তে যোগদান এবং নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়া শুভেন্দু বসতেন অষ্টম তলায়। বিরোধী দলনেতা হওয়ার পরে তিনি উঠে এসেছেন নবম তলায়। ওই তলার প্রথম ঘর ৮০১ এখন শুভেন্দুর হেস্টিংসের ঠিকানা। অষ্টম তলায় আরও কিছু বদল এসেছে। আগে একটি ছোট ঘরে বসতেন সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি একটি বড় ঘর পেয়েছেন। রাজ্যে এখন ৭৪ জন বিধায়ক বিজেপি-র। তাঁদের জন্যও ৭০৯ নম্বর ঘরে বানানো হয়েছে ‘বিধায়কমণ্ডলী’-র ঘর। ৭১০ নম্বর ঘরে যুব মোর্চার দফতর।