রোদ্দূর রায়
সব মামলায় জামিন পেলেন রোদ্দূর রায়। সোমবার ইউটিউবারকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে তাঁর বিরুদ্ধে বটতলা থানায় রুজু হওয়া মামলায় অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দেন বিচারক। পাশাপাশিই, আদালতের নির্দেশ, জাতীয় পতাকার অপমান করার জন্য রোদ্দূরকে ভিডিয়ো করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
রবিবার পাটুলি আর লেক থানার মামলায় রোদ্দূরকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। আগেই হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় জামিন পেয়েছেন ইউটিউবার। সোমবার রোদ্দূর জামিন পেলেন বটতলার মামলায়। তাঁর আইনজীবী ইয়াসিন রহমান বলেন, ‘‘রোদ্দূরকে এক হাজারা টাকার অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে। জামিনের জন্য পাঁচ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডও জমা দিতে হবে। এ ছাড়াও রোদ্দূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন। তার জন্য অন্য একটি ভিডিয়ো করে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে। তবে ওই ভিডিয়ো বিচারপ্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না।’’
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেটমাধ্যমে আক্রমণ করতে গিয়ে ‘কু-কথা’ বলার অভিযোগে কলকাতার একাধিক থানায় রোদ্দূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া সেই রকমই একটি অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ জুন গ্রেফতার করা হয়েছিল ইউটিউবারকে। ওই মামলায় গত ৯ জুন থেকে রোদ্দূর পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। মাঝে কয়েক দিন রোদ্দূরকে জেল হেফাজতে রাখা হলেও গত রবিবার পর্যন্ত আলিপুর আদালতের নির্দেশ পুলিশ হেফাজতে ছিলেন ইউটিউবার। সোমবার সব মামলায় জামিন পেলেন তিনি।
রোদ্দূরের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ‘‘সংবিধানে বাক্স্বাধীনতার অধিকার দেওয়া রয়েছে বলেই যা ইচ্ছে বলা যায় না। সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে। আর সোশ্যাল মিডিয়াতেও কী বলা উচিত আর কী বলা উচিত নয়, তা নিয়ে সতর্ক হতে হবে আমাদের।’’