কুলপিতে দুর্ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। — নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের দুই প্রান্তে জোড়া পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মোট চার জনের। তার মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরের জেলা কোচবিহারে। দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি এলাকায়। কুলপির ঘটনায় মৃতেরা সম্পর্কে কাকা এবং ভাইপো। সেই ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল সূত্রে খবর।
একই রাজ্যের দুই প্রান্তে দু’টি পথ দুর্ঘটনা। তাতে ঝরে গেল চার-চারটি তাজা প্রাণ। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানা এলাকার অন্তর্গত গোপালনগর মোড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দোকান বন্ধ করে দুই ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নাজ়ির জমাদার। গোপালনগর মোড়ের কাছে উল্টোদিক থেকে আসা একটি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে সোজা এসে ধাক্কা মারে তাঁদের বাইকে। ছিটকে পড়ে যান তিন জনই। গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নাজ়ির এবং এক ভাইপো মইদুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বাইকে ছিলেন মইদুলের ভাই মোকসেদুরও। তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত এবং আহতদের বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙায়। কাকার বেকারির ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন দুই ভাই। ঘাতক ধানের গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ।
দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার ১ ব্লকের জামতলায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতে বাইক নিয়ে কোচবিহার শহর থেকে শুক্টাবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন দুই যুবক। মাথাভাঙা রাজ্য সড়কের উপর একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে বাইকের। ঘটনাস্থলেই রাস্তায় পড়ে যান দুই যুবক। ঘাতক ট্রাকটি তাঁদের উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই যুবকের। ট্রাকটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পড়ে রাস্তার পাশে। ট্রাকের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে তড়িঘড়ি কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, রাত ১টা নাগাদ জামতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় ৩৫ বছরের মেহেবুব আলম এবং ২৯ বছরের কবীর হোসেনের মৃত্যু হয়। ঘাতক ট্রাকের চালক সোলেমান আলিকে গুরুতর আহত অবস্থায় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো রয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ।