ফাইল চিত্র।
লোকাল ট্রেন নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে রেলযাত্রীদের মধ্যে। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করতেই একগুচ্ছ বিধি নিষেধ জারি করে দিল নবান্ন। রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন কোন কোন ক্ষেত্র আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ও খোলা রাখা যাবে। কোথায় কেমন নিয়ন্ত্রণ জারি থাকবে তাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পক্ষে। তাতে বলা হয়েছে, সন্ধে ৭টার পরে লোকাল ট্রেন চলবে না। বাকি সময় মোট আসনের ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। কিন্তু সন্ধে ৭টায় লোকাল চলাচল বন্ধ মানে ঠিক কী তা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অতীতে লকডাউনের মধ্যে ‘স্টাফ স্পেশাল’ লোকাল ট্রেন চালিয়েছিল রেল। এ বারেও কি সেই ব্যবস্থা থাকবে? থাকলে কারা উঠতে পারবেন সেই ট্রেনে? এমন নানা প্রশ্ন উঠেছে যাত্রীদের মধ্যে।
তবে ঠিক কী হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রেল। পূর্ব রেলের জনসংযোগ দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের যে ঘোষণা তাতে কোনও প্রান্তিক স্টেশন থেকে ৭টার পরে আর টাইম টেবল মেনে লোকাল ট্রেন চালানো হবে না। তবে রেলের কর্মীরা যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন বা কাজে যোগ দিতে পারেন তার জন্য বিশেষ কিছু ট্রেন চালানো হবে। তবে সেই ট্রেনগুলিতে রেলকর্মীদের পাশাপাশি অন্যন্য জরুরি পরিষেবায় যুক্তরা সফর করতে পারবেন কি না সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। জরুরি পরিষেবার মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্র যুক্ত হবে তা নিয়েও আলাপ আলোচনার পরেই রেলের পক্ষে ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার থেকে লোকাল ট্রেন চালানোর নতুন নিয়ম চালু নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে শুধু বিভ্রান্তি নয়, তৈরি হয়েছে ক্ষোভও। যাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, শুধু লোকাল ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা লাগু করলেই কি করোনা রুখে দেওয়া সম্ভব? কলকতায় মেট্রো রেল সর্বক্ষণ চালানো হলেও শহরতলির লোকাল ট্রেনের উপরেই যত নিয়মের চাপ কেন? সারাদিন কলকাতায় রাজ্যের মানুষ ঢুকতে পারলেও সন্ধে ৭টার পর মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবেন না। তবে এত মানুষ কী করবেন। বিকেলের দিকের ট্রেনে অত্যধিক ভিড় হলে আদৌ সংক্রমণ রোখা যাবে কি! এমন নানা প্রশ্নে যাত্রীরা সরব হয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেও।