কুণাল ঘোষ। ফাইল চিত্র।
মামলা করে আটকে দেওয়া হচ্ছে নিয়োগ। এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শনিবার এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকের পর সাংবাদিরদের মুখোমুখি হন কুণাল। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘রেকমেন্ডেশন পেয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, এমন এক জনের নামে মামলা করা হয়েছে যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চাকরি তো হয়ে গিয়েছে কিন্তু কাজে যোগ দিতে পারছিলেন না।’’ কুণাল আরও বলেন, ‘‘কিছু আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করেছেন। আমি ধর্না মঞ্চে গেলে ডেপুটেশন দেয়। সেই ডেপুটেশন আমি দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হোয়াস্অ্যাপে পাঠিয়ে দিই। আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের চাকরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনজীবী মামলা করে নিয়োগ আটকে দিচ্ছেন। কোর্টের স্থগিতাদেশ না উঠলে নিয়োগ সম্ভব নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান, সবাই চাকরি পান।’’
এ ক্ষেত্রে কুণাল সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘চাকরিপ্রার্থীদের কিছু টেকনিক্যাল কাজ আছে যা আগামী সপ্তাহের মধ্যে করে ফেলতে হবে। আবারও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে বসতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যে কুণালের সঙ্গে বেশ কয়েক বার বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, আদালতে গিয়ে বার বার নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ভেস্তে দেওয়া হচ্ছে।
কুণালের পাশে বসে চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করেছেন, তাঁদের নিয়ে যেন রাজনীতি না করা হয়। কারণ চাকরির দাবিতে আন্দোলন করে গিয়ে অনেকেরই বয়স ৪৫ পেরিয়ে গিয়েছে। বয়সজনিত কারণে চাকরি পেলেও খুব বেশি দিন চাকরি করা সম্ভব হবে না। মূলত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষকেরাই কুণালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।