মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জয়ের হ্যাটট্রিক তাঁরও। কিন্তু বিধি বাম। করোনার কবল থেকে সবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাই পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে বিধানসভায় শপথ গ্রহণে যোগ দেওয়া হল না ২০১১, ২০১৬ এবং সর্বোপরি ২০২১-এর নীলবাড়ির লড়াইয়ে মধ্যমগ্রাম থেকে বিজয়ী রথীন ঘোষের। বরং বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শপথবাক্য পাঠ করলেন। তবে শপথগ্রহণে না থাকলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ণমন্ত্রীর যে দায়িত্ব কাঁধে তুলে দেবেন, তার মর্যাদা রাখবেন বলে জানিয়েছেন রথীন।
টিকা নেওয়া সত্ত্বেও ২মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন দু’য়েক আগে করোনায় আক্রান্ত হন রথীন। প্রথমে বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি হন তিনি। তার পর মাইকেলনগরের বাড়িতেই নিভৃতবাসে ছিলেন। তবে নিভৃতবাসের মেয়াদ কেটে গেলেও, এখনই বিধানসভায় যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই তাঁর। তাই বাড়িতে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শপথ নেন। কিন্তু হ্যাটট্রিকের পরেও বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শপথ না নিতে পারায় আক্ষেপ করছেন রথীন। তিনি বলেন, ‘‘খারাপ তো লাগছেই। কিন্তু কী আর করব। শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে।’’
তবে রথীন বিধানসভায় যেতে না পারলেও, তাঁর বাড়ির সামনে রীতিমতো উৎসবের আমেজ। সকাল থেকে বালতি করে মিষ্টি বিতরণ হচ্ছে এলাকায়। আনা হয়েছে ব্যান্ডপার্টিও। তার মধ্যেই পূর্ণমন্ত্রীর সম্মান দেওয়ায় স্ত্রীকে পাশে নিয়ে মমতাকে কৃতজ্ঞতা জানান রথীন। তিনি বলেন, ‘‘ভাল লাগারই কথা। মুখ্যমন্ত্রী আস্থা রেখেছেন আমার উপর। বুঝেছেন আমায় দিয়ে হবে। তাঁর সেই আস্থার মর্যাদা রেখেই আগামী দিনে এগোব। খেয়াল রাখব যাতে মাথা উঁচু থাকে ওঁর।’’ দায়িত্ব গ্রহণ করে আপাতত বাংলাকে করোনামুক্ত কারই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন রথীন।