ফাইল চিত্র।
আর কিছুক্ষণ পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। সোমবার রাজভবনে এসে শপথ নেবেন ৪১ জন মন্ত্রী। আর ২ জন ভার্চুয়ালি শপথ নেবেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু। বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে ভার্চুয়ালি শপথ নেবেন। অসুস্থ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের ওই একই ভাবে শপথ নেওয়ার কথা। ২০১১ ও ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে শপথ নিয়েছিল তাঁর মন্ত্রিসভা। কোভিড পরিস্থিতির কারণে বুধবার একই শপথ নেন তিনি। সোমবার রাজভবনে কোভিডবিধি মেনেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে সীমিত সংখ্যক অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ বার ৪৩ জন মন্ত্রীর তালিকা রাজভবনে জমা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী ২৪ জন। বাকি ১৯ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ১০ জন পাচ্ছেন স্বাধীন দফতর। রবিবার যে তালিকা রাজভবনে পাঠানো হয়েছে তাতে পুরনো মন্ত্রীরা অনেকেই থাকছেন। সেই সঙ্গে ১৬ জন নতুন মুখের দেখা মিলবে। এ বারের নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও ফের একবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন বিদায়ী অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। প্রত্যাশিত ভাবেই মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেনের মতো মমতা ঘনিষ্ঠরা। আবার মন্ত্রিসভায় প্রত্যাবর্তন হচ্ছে মানস ভুঁইয়া, সুব্রত সাহা, সবিনা ইয়াসমিন, বেচারাম মান্নাদের। তবে কে কোন দফতর পাবেন তা জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে, বিকেল ৩টেয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করে দেবেন।
এ বারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ বঙ্কিম হাজরা, রথীন ঘোষ, পুলক রায়, বিপ্লব মিত্র, হুমায়ুন কবীর, অখিল গিরি, রত্না দে নাগ, বুলুচিকি বরাইক, দিলীপ মণ্ডল, আক্রুজ্জমান, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাত, বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মান্ডি, পরেশ অধিকারী, মনোজ তিওয়ারি। কামারহাটি বিধানসভা আসনে জয় পেলেও তালিকায় নাম নেই রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রর। বাদ পড়েছেন গত মন্ত্রিসভার দুই সদস্য তাপস রায় ও নির্মল মাঝি। এ ছাড়াও বাদের তালিকায় তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, জাকির হোসেন, মন্টুরাম পাখিরা ও গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।