ফাইল চিত্র।
কয়লা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা শুরু করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন তিনি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে বলে আশঙ্কা করলেন মমতা। কয়লা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘আত্ননির্ভর ভারত’ নীতির সঙ্গে খাপ খায় না, চিঠিতে এমনও লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
২৫ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠিটি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৭৩ সালে যে ভেবেচিন্তেই কয়লা ক্ষেত্রের রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়েছিল এবং তা যে দেশের শক্তি ক্ষেত্রের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত, সে কথা প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন যে, কয়লায় ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁর গুরুতর আপত্তি রয়েছে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে দেশের কোনও লাভ হবে না বলে কেন তিনি মনে করছেন, তার বিশদ ব্যাখ্যাও চিঠিতে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শক্তি বা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত যে সব বহুজাতিক সংস্থা, তারা এখন পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি উৎপাদনেই বেশি আগ্রহী, কয়লা খননে বিনিয়োগ তারা আর করতে চায় না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন। ফলে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগ টানতে পারবে না বলে মমতার মত। কয়লা খনিগুলিতে এই ভাবে পূর্ণ বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলে দিলে দেশ এমন কোনও প্রযুক্তি হাতে পাবে, যা এ দেশে নেই, তেমনও হওয়ার নয় বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন। তাই জাতীয় সম্পদের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের হাতের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে লাভ যে খুব একটা হবে, এমন নয় বলেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: ধর্মতলায় সভা হবে না ২১ জুলাই, ঘোষণা মমতার, হুঁশিয়ারি বিজেপি-কেও
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা বাতিল, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফলপ্রকাশের সম্ভাবনা
ভারতের ৮০ শতাংশ কয়লা উত্তোলন হয় যে সংস্থার হাত ধরে, সেই কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড একটা লাভজনক সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করা যুক্তিযুক্ত নয়, ব্যাখ্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা ছাড়া, দেশের কয়লাখনিতে এখন ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ঢুকতে দেওয়া আত্মনির্ভর ভারতের ধারণার বিরোধী, এমনও লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার পুনর্বিবেচনা করুক, দাবি তাঁর।