Ration Dealers

রেশন দুর্নীতির অভিযোগের আবহেই ডিসেম্বর মাস থেকে রেশন না দেওয়ার ঘোষণা ডিলারদের, চিন্তিত খাদ্য দফতর

সম্প্রতি রেশনের খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই কার্যত বাধ্যতামূলক করেছে খাদ্য দফতর। সেই নতুন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রেশন ডিলারদের সংগঠন তীব্র আপত্তি জানিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১৯
Share:

রেশন পরিষেবা নিয়ে জেরবার খাদ্য দফতর। ছবি: সংগৃহীত।

রেশন দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার হয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরট (ইডি)-এর হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর তারই মধ্যে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্যে রেশন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিল রেশন ডিলারদের সংগঠন। শুক্রবার কেষ্টপুরে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রা‌ইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সদর দফতরে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন ডিলাররা। রেশন ডিলারদের এমন ঘোষণার জেরে সমস্যায় পড়েছে খাদ্য দফতর। তবে বিষয়টি নিয়ে খোলা মনে রেশন ডিলারদের সঙ্গে আলোচনার পক্ষপাতী দফতর।

Advertisement

সম্প্রতি রেশনের খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই কার্যত বাধ্যতামূলক করেছে খাদ্য দফতর। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, পর্যায়ক্রমে ত্রিস্তর পদ্ধতিতে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব গ্রাহকের আধার নম্বর দেওয়া রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই আবশ্যিক। গ্রাহকের আধারের বায়োমেট্রিক যাচা‌ই ছাড়া খাদ্য বণ্টন বন্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তেও বেজায় ক্ষুব্ধ ডিলার সংগঠন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘সফ্‌টঅ য়্যারে পরিবর্তনের মাধ্যমে শুক্রবার থেকেই ই-পস যন্ত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই ছাড়া খাদ্য বণ্টন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বহু সংখ্যক প্রকৃত গ্রাহক বঞ্চিত হবেন। তাঁদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে ডিলারদের।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সংসদে জানিয়েছে, আধার না থাকলেও বৈধ গ্রাহককে খাদ্য দিতে হবে। কিন্তু রেশন বন্টন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার নামে একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ তাঁদের অভিযোগের সুরাহা না হলে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকেই রেশন পরিষেবা দেওয়া তাঁরা বন্ধ করে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রেশন ডিলাররা।

তবে এ প্রসঙ্গ খাদ্য দফতরের বক্তব্য, রেশন ডিলারদের সংগঠন তাদের দাবিদাওয়ার কথা দফতরকে জানালে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু দফতর এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান চায়। তাই শীঘ্রই দফতর তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। তবে খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, ৯৭ শতাংশ গ্রাহকের আধারের বায়োমেট্রিক যাচা‌ইয়ে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। রেশন দোকানে ৯৯ শতাংশের বেশি লেনদেন চলছে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমেই। কোনও গ্রাহকের আধার না থাকলে তাঁর জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে রেশন ডিলারদের কাছে। রেশন ডিলারদের ঘোষণার বিষয়টি জানানো হয়েছে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকেও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement