তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ বিধানসভায় বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি বিধায়কেরা) মার্শালকে মেরেছে। বিধানসভার কর্মীদের মেরেছে। আমাদের একাধিক বিধায়ক হামলায় আহত হয়েছেন। মাননীয় স্পিকারের কাছে আমাদের দাবি, হামলাকারী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
ফিরহাদ (ববি) হাকিম। ফাইল চিত্র।
বগটুই-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় অশান্তির জন্য সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম। সোমবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘‘এ রকম গুন্ডাবাজি করা বিরোধী দলনেতা আগে কোনও দিন দেখিনি। এই বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তথ্য দিয়ে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করতেন। আরও অনেক বিরোধী দলনেতাকে আমরা দেখেছি। কিন্তু এ রকম অরাজকতা সৃষ্টিকারী বিরোধী দলনেতা দেখিনি কখনও।’’
সোমবার বিধানসভায় হাঙ্গামার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, নরহরি মাহাতো এবং মনোজ টিগ্গাকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনে শাসক দল। তাঁদের সাসপেনশনের দাবি করেন, ফিরহাদ, উদয়ন গুহ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। সেই প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি বিধায়কেরা) মার্শালকে মেরেছে। বিধানসভার কর্মীদের মেরেছে। আমাদের একাধিক বিধায়ক হামলায় আহত হয়েছেন। মাননীয় স্পিকারের কাছে আমাদের দাবি, হামলাকারী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
এর পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল শিবিরের দাবি মেনে শুভেন্দু-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন। সঙ্ঘর্ষের জেরে আহত তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অসিতের অভিযোগ, শুভেন্দু তাঁর নাকে ‘টেনে ঘুসি’ মেরেছেন।
এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করার পরে বলেন, ‘‘পরিকল্পনা মাফিক কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সাদা পোশাকে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে ঢোকানো হয়েছিল। তাঁরাই প্রথমে বিজেপি বিধায়কদের উপর হামলা চালান।’’ এর পর শাসক দলের কয়েক জন বিধায়কও বিজেপি বিধায়কদের মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির গায়ে পুরুষ নিরাপত্তাকর্মীরা হাত দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।