আইআইটিতে রামসেতু নিয়ে কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হঠাৎ বলে বসলেন, ‘‘প্রযুক্তি বিষয়ে আমাদের দেশ আগে থেকেই শক্তিশালী। এই যে রামসেতু। এই সেতু কে  তৈরি করেছিল? ব্রিটেন, জার্মানি বা আমেরিকা নয়, আমাদের ইঞ্জিনিয়াররাই তৈরি করেছিলেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০৩:০২
Share:

রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।

আইআইটি খড়্গপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। দেশীয় প্রযুক্তি নিয়ে বলছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল।

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হঠাৎ বলে বসলেন, ‘‘প্রযুক্তি বিষয়ে আমাদের দেশ আগে থেকেই শক্তিশালী। এই যে রামসেতু। এই সেতু কে তৈরি করেছিল? ব্রিটেন, জার্মানি বা আমেরিকা নয়, আমাদের ইঞ্জিনিয়াররাই তৈরি করেছিলেন।’’

কয়েক সেকেন্ডের নীরবতা। পড়ুয়ারা মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন। ফের শুরু করলেন রমেশ। বললেন, ‘‘কি, আমি ঠিক বলছি তো?’’ সভাঘর তখনও সাড়া দিচ্ছে না। তা দেখে আবার মন্ত্রী বললেন, ‘‘আমি কি ভুল বলছি? আপনারা চুপ কেন?’’ অগত্যা অস্ফূটে কয়েকজন বলে উঠলেন, ‘‘হ্যাঁ। ঠিক। ঠিক।’’

Advertisement

মঙ্গলবার খড়্গপুর আইআইটির ৬৫তম সমাবর্তনের অনুষ্ঠানমঞ্চে মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে যে অস্বস্তির সূত্রপাত, তার জের চলেছে পরে সাংবাদিক বৈঠক পর্যন্ত। সেখানে প্রশ্ন ওঠে, যে রামসেতুর অস্তিত্ব স্বীকৃত নয়, সেখানে মন্ত্রী কী করে এত নিঃসন্দেহ হলেন? রমেশ ব্যাখ্যা দেন, ‘‘আসলে বলতে চেয়েছি, ছাত্রেরা এই বিষয়গুলি নিয়ে আরও অনুসন্ধান করুন।’’ পাশে বসা আইআইটির আধিকারিকদের চোখেমুখে তখন অস্বস্তি।

রমেশ এদিন জানান, নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী স্কুল পাঠ্যক্রমে ব্যবসায়িক, রোজগারের শিক্ষার পাঠ দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছেন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে আমেরিকাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। এ দিন ২৮০২ জন পড়ুয়ার হাতে মানপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আইআইটি কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের মধ্যে গবেষক রয়েছেন ৩৭২ জন। যা গত বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। মঞ্চ থেকেই রাজারহাটে রিসার্চ হাবের উদ্বোধন করেছেন মন্ত্রী। সেখানে আইআইটি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শিল্পসংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গবেষণা করতে পারবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement