মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ‘চাবি’ তুলে দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নিজস্ব চিত্র।
ঔপনিবেশিক মানসিকতার উত্তরাধিকার আর বয়ে বেড়ানো নয়। ‘রীতি’ ভাঙতেই তাই রাজভবনে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকারের ঘোষণা। চলতি সপ্তাহে বাংলা সফরে এসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজভবনের চাবি তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, এখন থেকে রাজভবন ‘জন রাজভবন’। খুব শীঘ্রই বাংলার রাজভবনের ভিতরে ও বাইরে হেঁটে ঘোরা যাবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘হেরিটেজ ওয়াক’।
সোমবারই দু’দিনের সফরে বাংলায় এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মঙ্গলবার ফিরে গিয়েছেন দিল্লি। সোমবার রাষ্ট্রপতির সম্মানে রাজভবনে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে হাজির ছিলেন মমতা। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একটি প্রতীকী চাবি তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। সোমবার সে বিষয়ে রাজ ভবন বা মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কিছু জানানো হয়নি। মঙ্গলবার তা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজভবন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজভবন এখন থেকে ‘জন রাজভবন’। রাষ্ট্রপতি রাজভবনের একটি চাবি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। সেই চাবি রাজ্যপাল দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতিকে। বলা হয়েছে, এখন থেকে সাধারণ মানুষের জন্য রাজভবনের দরজা খোলা। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ঔপনিবেশিক মানসিকতা ভাঙতেই এই সিদ্ধান্ত। এর আগে রাষ্ট্রপতি নিজের উদ্যোগে সেকেন্দরাবাদে ‘রাষ্ট্রপতি নিলয়’ সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিয়েছেন। একই রকম ভাবে বাংলার রাজভবনও জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল।
রাজভবনের তরফ থেকে বিশেষ বই উপহার দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। নিজস্ব চিত্র।
ওই নৈশভোজে রাজ্যপাল একটি বই উপহার দিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে। তার বিষয়বস্তু, রাজ্যপাল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে আনন্দের প্রথম ১০০ দিন। বইটিতে মোট ন’টি পরিচ্ছদ রয়েছে। বইটি রাজভবন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এবং ছবি সম্বলিত।