—ফাইল চিত্র।
আশ্বিনের আকাশের সেই চেনা রং কলকাতায়। সকাল থেকেই ঝলমলে রোদের সঙ্গে উত্তুরে হাওয়ার পরশ। দোরগোড়ায় পুজো। রাত পোহালেই দেবীর বোধন। আপাতত মেঘমুক্ত আকাশেই শারদ আনন্দে মাততে চলছে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এই পূর্বাভাসে স্বস্তি মিললেও ভয় ধরাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত। অষ্টমী পর্যন্ত পুজোর আনন্দে জল ঢালতে না পারলেও নবমী থেকে আবার ইনিংস শুরু করতে পারে বৃষ্টি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সপ্তমীর সকালে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যা নবমীর দিন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবেই নবমী, দশমীতে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্চমীর সকাল থেকেই কলকাতা এবং জেলায় জেলায় শরতের রোদ ঝলমলে আকাশ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এ বছরের মতো পুরোপুরি বিদায় নিয়েছে বর্ষা। তবে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের শঙ্কা চিন্তা বাড়িয়েছে। আলিপুর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর অগ্রসর হবে। এর প্রভাবে সপ্তমীর সকালে মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। নবমীতে সেটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবেই নবমী এবং দশমীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখন আপাতত শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। পঞ্চমী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীর দিন দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী তিন-চার দিনে রাতের তাপমাত্রা এক-দু’ডিগ্রি কমতে পারে।