—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের মূল্যায়নে সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গড়ল রাজ্য শিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির মূল্যায়ন এবং র্যাঙ্কিংয়ের জন্যেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষানীতির প্রস্তাব অনুযায়ী একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে যে সব পড়ুয়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে, তারা এই নিয়মের আওতায় পড়বে। সেমেস্টার পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে প্রথম ফলাফল ঘোষণা হবে ২০২৬ সালে।
শিক্ষা দফতর যে কমিটি তৈরি করেছে, তার সদস্যেরা শিক্ষানীতির প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখবেন। কী ভাবে সেমেস্টার পদ্ধতি প্রয়োগ করলে সুবিধা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এই কমিটি। সমস্ত দিক বিবেচনা করে শিক্ষা দফতরের কাছে তারা আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে।
শিক্ষা দফতরের এই কমিটিতে থাকছেন স্কুল শিক্ষা কমিশনার, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি, স্কুল শিক্ষার যুগ্ম ডিরেক্টর চিন্ময়ী পট্টনায়েক এবং নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ। চার সদস্যের এই কমিটি উচ্চ মাধ্যমিকের সেমেস্টার পদ্ধতির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে।
শিক্ষা দফতরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে দু’টি এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে দু’টি সেমেস্টার হবে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে হবে একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টার। ২০২৫ সালের মার্চে হবে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমেস্টার। ওই বছর নভেম্বরে হবে দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টার। ২০২৬ সালের মার্চে হবে দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমেস্টার। দ্বাদশ শ্রেণির দু’টো সেমেস্টারের উপর মূল্যায়ন করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টার, যা নভেম্বরে হবে, তাতে এমসিকিউয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার ভাবনা রয়েছে সংসদের। ওএমআর শিটে উত্তর লিখতে হবে পড়ুয়াদের। দ্বিতীয় সেমেস্টার হবে নৈর্ব্যক্তিক। ছোট, বড় মিলিয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে পড়ুয়াদের। প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা একটাই হবে। তা সেমেস্টারে ভাগ করা হবে না। প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি)-তে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব রয়েছে। তবে রাজ্য শিক্ষানীতিতে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে সেমেস্টার পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব রয়েছে। তাতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এ ছাড়া, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির মূল্যায়নের পরিকল্পনাও রয়েছে শিক্ষা দফতরের। স্কুলগুলির মানের বিচারে র্যাঙ্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সে বিষয়ে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে থাকছেন স্কুল শিক্ষার কমিশনার, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন, পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টর, উচ্চ শিক্ষা দফতরের যুগ্ম ডিপিআই এবং নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ। চার সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।