প্রায় পাঁচ দিন ধরে কুড়মিদের রেল অবরোধের জেরে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস থেকে লোকাল ট্রেন এবং মালগাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে রেল। —ফাইল চিত্র।
জনজাতির স্বীকৃতির দাবিতে পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে কুড়মিদের রেল অবরোধে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে রেল। কত কোটি টাকার লোকসান হয়েছে, তা জানতে পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার থেকে কুড়মিদের প্রায় পাঁচ দিনের রেল অবরোধে ব্যাহত হয়েছিল খড়্গপুর-টাটানগর লাইনে ট্রেন পরিষেবা। এ ছাড়া, আদ্রা ডিভিশনের আদ্রা-চান্ডিল শাখার কুস্তাউর স্টেশনের পাশাপাশি পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের কুস্তাউর মোড় অবরুদ্ধ করে রেখেছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। পঞ্চম দিনে উঠেছিল রেল অবরোধ। তবে ওই ক’দিন দূরপাল্লার এক্সপ্রেস থেকে লোকাল ট্রেন এবং মালগাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে রেল।
রেল সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৮টার পর থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করে খড়্গপুর-টাটানগর লাইনে ট্রেন পরিষেবা। প্রায় পাঁচ দিন ধরে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় কতটা ক্ষতির মুখে পড়েছে রেল? খড়গপুরের ডিআরএম এমএস হাশমি বলেন, ‘‘গত বছর পাঁচ দিনের অবরোধের জেরে ৬৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল রেলের। এ বারের রেল অবরোধের জেরে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুরো পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখা হয়নি। এ বার যাত্রিবাহী ট্রেনও বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া, মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় মালপত্র ওঠানামা করা সম্ভব হয়নি। এ বারের রেল অবরোধের জেরে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
কুড়মি সমাজের ডাকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খেমাশুলি স্টেশন অবরোধের পাশাপাশি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় আরও কয়েকটি সংগঠন। রবিবার রাতে রেল অবরোধ উঠে গেলেও সড়ক অবরোধ চলছিল। তবে অবরোধের সময় কিছুটা শিথিল করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের তরফে আন্দোলনকারীদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। সে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার দুপুরে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য নেতা রাজেশ মাহাতো বলেছিলেন, ‘‘সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর ২টো পর্যন্ত জাতীয় সড়ক অবরোধের সময় শিথিল করা হয়েছে। বৈঠকের পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই রাস্তায় যানবাহন চলছে। ট্রেনও চলাচল করছে।’’