সুন্দরবনের বাঘগণনার জন্য জঙ্গলের নানা জায়গায় স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। —ফাইল চিত্র।
দর্শনীয় নানা স্থান তো বটেই, দক্ষিণ রায়ের দর্শন পেতেও সুন্দরবনে পা রাখেন পর্যটকেরা। তাঁদের কাছে খুশির খবর নিয়ে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রকাশিত ব্যাঘ্রগণনার পরিসংখ্যান সংক্রান্ত রিপোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশের পাশাপাশি সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাভাবিক ভাবে এ খবর আরও বেশি সংখ্যায় পর্যটক টেনে আনবে সুন্দরবনে— এমনই আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
২০২২ সালের অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশন (এআটিই)-র রিপোর্ট রবিবার প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা কমপক্ষে ১০০। অন্য দিকে, গোটা দেশে বাঘের সংখ্যা ৩,১৬৭।
বন দফতর সূত্রে খবর, সুন্দরবনের বাঘগণনার জন্য জঙ্গলের নানা জায়গায় স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সে সব ক্যামেরায় তোলা ছবি বিচার-বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, ১০০টি বাঘের ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তবে এই সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। কারণ, ক্যামেরার সামনে যে বাঘগুলি আসেনি, এই রিপোর্টে তাদের সম্পর্কে কোনও পরিসংখ্যান নেই। ফলে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা একশোর বেশি থাকতেই পারে। তবে সংখ্যাটি তার কম নয়। এই গণনার মধ্যে অবশ্য ব্যাঘ্রশাবকদের ধরা হয়নি বলে জানিয়েছে বন দফতর। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, ‘‘ঠিক মতো সংরক্ষণের কারণেই বিগত কয়েক বছরে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।’’
বন দফতর জানিয়েছে, ২০১৮ সালের অল ইন্ডিয়া টাইগার এস্টিমেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সুন্দরবনে ৮৫টি বাঘ ছিল। যদিও ২০২০-২১ সালে বন দফতরের তরফে সুন্দরবনের জঙ্গলে ক্যামেরা বসিয়ে একই পদ্ধতিতে বাঘের ছবি তুলে গণনা করা হয়েছিল। সে বার সুন্দরবনে ৯৬টি বাঘ মিলেছিল। গত দু’বছরে সে সংখ্যাটি বেড়েছে। এ বার মোট ১,১৪৬টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায়। সে ক্যামেরাগুলিতে ওঠা ছবি দীর্ঘ দিন ধরে বিচার-বিশ্লেষণ করে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা।